শীতকালে কেন খাবেন ইসবগুল?
ইসবগুল চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এর উপকারিতা অনেক। এর নামের সঙ্গে ‘গুল’ আছে বলে অনেকে ভাবি, হয়তো কোনো ক্ষুদ্র ফুলের সূক্ষ্ম পাপড়ি হবে। কিন্তু এর সম্পর্ক ফুলের সঙ্গে নয়, বীজের সঙ্গে।
![বিদেশি বাজারে এটা সিলিয়াম হাস্ক হিসেবে পরিচিত। গ্রিক ‘সিলা’ অর্থ একধরনের মাছি, ডানাহীন ফ্লি মাছি। ইসবগুলের বীজ দেখতে অনেকটা ফ্লি মাছির মতো বলে ইংরেজিতে এই নাম। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/3-20240122115123.jpg)
![কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে ইসবগুলের ভুসির তুলনা হয় না। শরীরের নানা সমস্যা, দীর্ঘ যাত্রায় বহুক্ষণ এক স্থানে অনড় বসে থাকা, এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। অন্য ওষুধের সঙ্গে ইসবগুল পথ্য হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/0-20240122115557.jpg)
![ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালীন ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে এবং অন্ত্রের দেয়াল পিচ্ছিল করে দেয়। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/6-20240122115615.jpg)
![সকালে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। দুধের সঙ্গেও এটি খেতে পারেন। শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে তাই ইসবগুল ভালো কাজ দেয়। পাইলস রোগীদের সারা বছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/4-20240122115636.jpg)
![অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য দারুণ টনিক হলো ইসবগুলের ভুসি ও দই। এ দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/8-20240122115656.jpg)
![ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/7-20240122120018.jpg)
![উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/9-20240122120145.jpg)
![হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দূর করতেও ইসবগুলের ভুসি দারুণ কাজ করে। ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিলেও ইসবগুলের শরবত কাজে আসে। পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেও রোজ সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/2-20240122120405.jpg)
![বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ছবি: সংগৃহীত](https://cdn.jagonews24.com/media/PhotoGalleryNew/BG/2023March/5-20240122120424.jpg)
ইসবগুল চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এর উপকারিতা অনেক। এর নামের সঙ্গে ‘গুল’ আছে বলে অনেকে ভাবি, হয়তো কোনো ক্ষুদ্র ফুলের সূক্ষ্ম পাপড়ি হবে। কিন্তু এর সম্পর্ক ফুলের সঙ্গে নয়, বীজের সঙ্গে।