ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদাকে মাইনাস করার সিদ্ধান্ত নিবে জনগণ

প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, আগামীতের আরও সরকার আসবে। আমাকে মাইনাস করার সিদ্ধান্ত নিবে জনগণ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমি আশাকরি আগামী বছর হবে জনগণের বিজয়ের বছর।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরিণত হয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রহসনে। ছলে-বলে-কলে-কৌশলে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চাইছে সরকার। এ কারণে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, জোর করে ক্ষমতায় আসা এ সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো অধিকার নেই। অবশ্যই এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে। চূড়ান্ত বিচারে মাইনাস করার ক্ষমতা কেবল আল্লাহর’ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি জাতীয় সঙ্কট নিরসনে দেয়া ৭ দফা প্রস্তাব না মানলে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবগুলো মেনে নিয়ে জাতীয় সঙ্কট নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা জনমত গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণা করছি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সকল গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) প্রয়োজনীয় সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায় থেকে পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, ভোটার তালিকার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণ, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করা, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা, নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান, সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, বন্ধ সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দেয়া এবং মাহমুদুর রহমানসহ আটক সব সাংবাদিককে মুক্তির দাবি জানান।

আলোচনার মাধ্যমে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ও আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এসব প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।