তাসনিম জারাকে নিয়ে সারজিসের আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট
সারজিস আলম-তাসনিম জারা
যুক্তরাষ্ট্র সফররত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে দলটি৷ এবার তাসনিম জারাকে নিয়ে আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাসনিম জারার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, একটা মুহূর্ত কোনোভাবেই মাথা থেকে যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের একজন ডা. তাসনিম জারাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। আর তিনি চুপ করে সেখান থেকে হেঁটে চলে যাচ্ছেন। আমি শুধু সেই সময় তার মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করছি।
তিনি লেখেন, একটা মানুষ তার বিলেতি জীবন ছেড়ে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে মানুষ ও দেশকে কিছু দেওয়ার জন্য অনেকের স্বপ্নের যে জীবন, সেই জীবন ছেড়ে এই দেশটাতে ফিরে এসেছেন।
সারজিস লেখেন, সুবিধাবাজ, ভন্ড, অযোগ্য, চাটুকারদের সমারোহে পরিপূর্ণ যে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল সেখানে সব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সৎ সাহস নিয়ে তিনি রাজনীতি করতে এসেছেন পরিবর্তনের আশায়। অথচ আমরা তাকে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, ন্যূনতম সম্মানটুকু দেখাতে পারছি না।
- আরও পড়ুন:
ভারতের আশীর্বাদে আর কোনো দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না: সারজিস
জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না
তিনি লেখেন, গালিটা শুধু ডা. তাসনিম জারাকে দেয়নি। যারা আগামীর বাংলাদেশে ভালোর জন্য রাজনীতি করতে চান তাদেরকে দিয়েছে, যারা পুরাতন বন্দোবস্ত ভেঙে নতুন বন্দোবস্ত করতে চান তাদেরকে দিয়েছে, যারা বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশে ফিরে কিছু করতে চান তাদেরকে দিয়েছে, যে যোগ্য নারীরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে চান তাদেরকে দিয়েছে। আপনাদের মা বোনদের সামনে পেলে তাদেরকেও দিবে।’
সারজিস আলম লেখেন, কারণ ডা. তাসনিম জারার মতো নারীরা যদি আগামীর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একবার থিতু হতে পারে তাহলে ওই অযোগ্য, কুখ্যাত খুনিদের স্থান এই বাংলাদেশে আর হবে না।
তিনি আরও লেখেন, আগামীর বাংলাদেশে আমাদের অন্যতম বড় দায়িত্ব রাজনীতিতে ডা. জারার মতো মানুষদের প্রটেক্ট করা। যেদিন আমরা সেটা পারবো না এবং তারা আবার ফিরে যাবে; সেদিন থেকেই এই বাংলাদেশের শেষের শুরু।
এনএস/এনএইচআর