ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপির কাছে ৩০০ আসনের ২২২ আসনই চায় মিত্ররা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি শরিকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল, কে কোন আসনে নির্বাচন করতে চান। এর জবাবে শরিকরা ২২২টি আসনে প্রার্থী দাবি করে তালিকা জমা দিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ আরও ২০টি আসন দাবি করেছিল, যদিও তারা আনুষ্ঠানিক তালিকা দেয়নি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মাঝে একটি আসনের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। বাকী ৬৩টি আসন জোট ও শরিকদের জন্য খালি রাখা হয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সব আসন জোটের জন্য নয়। অনেক আসনে দলের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। একই সঙ্গে শরিকদের সর্বোচ্চ মূল্যায়নের আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সবই জোটের জন্য খালি রাখা হয়নি। কিছু আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। শিগগির এসব আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে যারা যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর জন্য ৩৯টি আসন ছেড়েছিল। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টি ও ২০-দলীয় জোটকে ৩৯টি আসন ছাড়া হয়েছিল, যার মধ্যে ২২টি ছিল জামায়াতের জন্য।

এবার আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত থাকায় বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মাঠে থাকতে পারে জামায়াত ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দল।

আরও পড়ুন:

বিএনপির অমীমাংসিত সমীকরণে জোট নাকি দ্বন্দ্ব?
আমরা জোট করবো না, নির্বাচনি সমঝোতা করবো: জামায়াত আমির

তবে বিএনপি এখনো জোটের জন্য কত আসন ছাড়বে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৫-৩০টি আসন পেতে পারে বিএনপির আন্দোলনের শরিকরা।

অন্যদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ ৬ নেতা কে কোথায় নির্বাচন করবেন, তা জানতে চেয়েছিল বিএনপি। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে তখন শীর্ষ নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে বিএনপিকে বিস্তারিত অবহিত করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ নেতাকে তাদের নির্বাচনি এলাকায় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। তারা হলেন,
পিরোজপুর–১: মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি–জাফর), বগুড়া–২: মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য), ঢাকা–১৭: আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি), লক্ষ্মীপুর–১: শাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপি) এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

বাকিরা হলেন, ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক, কুমিল্লা-৭ আসনে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

এছাড়া, এনসিপির জন্য ছাড়া হতে পারে ৮ থেকে ১০টি আসন। এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, ঢাকা–১১: নাহিদ ইসলাম, রংপুর–৪: আখতার হোসেন, পঞ্চগড়–১: সারজিস আলম, কুমিল্লা–৪: হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা–১৮: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা–৯: তাসনিম জারা, নরসিংদী–২: সারোয়ার তুষার, নোয়াখালী–৬: হান্নান মাসউদ ও ঢাকা–১৪: আরিফুল ইসলাম আদীব।

 এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, আমরা জোট করবো না। তবে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতা করবো। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

কেএইচ/এসএনআর/জেআইএম