কালুরঘাট থেকে ২ সপ্তাহব্যাপী বিজয় মশাল রোড শো করবে বিএনপি
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
গৌরবের ৫৫তম বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় গণতান্ত্রিক অধিকারহারা জনগণ ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে ছিল। ২০২৪ সালে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তার ভাষায়, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এবারের বিজয়ের আনন্দ ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
কালুরঘাট থেকে বিজয় মশাল যাত্রা
মির্জা ফখরুল জানান, ১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২ সপ্তাহব্যাপী বিজয় মশাল রোড শো শুরু হবে। স্বাধীনতার ঘোষণার স্মৃতি-বিজড়িত এই স্থান থেকেই সারাদেশে বিস্তৃত কর্মসূচির যাত্রা শুরু করবে বিএনপি। সেদিন কালুরঘাট থেকে বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছবে মশাল-মিছিল। মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ২০১৪ সালের একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’। কালুরঘাট থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুরে ‘বিজয় মশাল রোড শো’ অনুষ্ঠিত হবে।
রোড শো চলাকালে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, আর ২০২৪ দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।
দলের ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের সামনে তুলে ধরা এই রোড শো’র মূল উদ্দেশ্যগুলোর একটি হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরো আয়োজনের থিম হবে‘সবার আগে বাংলাদেশ’। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে শেষ হবে মশালযাত্রা। সেদিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
‘শহীদদের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ থেকে ২০২৪- বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। লাখো প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া সেই স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয়ই হোক এবারের বিজয়ের বার্তা।
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে তিনি ‘স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের সামনে এক বিশাল সুযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
কেএইচ/এএমএ