সংবাদ সম্মেলনে মান্না
ঋণখেলাপির তালিকায় থাকতে চাই না, নির্বাচনে যেন অংশ নিতে পারি
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না
ঋণখেলাপির তালিকায় থাকতে চান না জানিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
নিজের ঋণখেলাপি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, পুনঃতফসিলের আবেদন করে ও আদালতে গিয়ে সঠিক ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে তার সংসদীয় আসনের (বগুড়া-২) বিএনপি নেতাদের প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মাহমুদুর রহমান মান্নার খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে’ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মান্নার করা রিট খারিজ করে দেন। ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না ন্যায়বিচারের মাধ্যমে যেন খেলাপি ঋণের তালিকা থেকে বাদ যান এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান।
তিনি জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জের একটি কোল্ড স্টোরেজে তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তার সহযোগী দেশ ছেড়ে পালান। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জের ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩৬ কোটি টাকার যে ঋণ নেওয়া হয়েছে ব্যবসায়িক সহযোগী নাজমুল কাদির শাহজাহান ওই ঋণের সিগনেটরি। তিনি সিগনেচার করতে না পারায় পুনঃতফসিলের আবেদন করা হলেও আদালতের মাধ্যমে তা আটকে দেয় একটি শ্রেণি। যার উদ্দেশ্য তিনি যেন বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে না পারেন।
মান্না জানান, আগামীকাল (রোববার) কোর্টে আরও একটি রায় হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। রায়টি যদি তার অনূকূলে না আসে তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তার অনুকূলে রায় না এলে তিনি পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করেছি। যেহেতু আমি সিগনেটরি নই, কিছু করতে পারছিলাম না। তখন আমি কোর্টে গিয়েছি। আমার পক্ষে অর্ডার গেছে, যেন আমার নামটি ঋণখেলাপিতে না থাকে। কিন্তু ওই অর্ডার স্টে (স্থগিত) করা হয়েছে। বিচারব্যবস্থা এখনো প্রভাবিত।
তিনি বলেন, আমি পরশু চেম্বার জজ আদালতে যাবো। আমি দুই বছর জেলেও কাটিয়েছি৷ আমাকে ঠিকভাবে নোটিশও দেওয়া হয়নি৷
তিনি আরও বলেন, আমি চাই আমি যেন নির্বাচনটা করতে পারি। এটা আমার অধিকার। আমি ঋণখেলাপি থাকতে পারি না। আমাকে যেন সময় দেওয়া হয়। আমার নাম যেন ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
রোববারের রায় নিজের পক্ষে আসবে বলেও এসময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না জাগো নিউজকে জানান, শিবগঞ্জের ইসলামী ব্যাংক শাখায় ওই ঋণ রয়েছে। প্রায় ৩৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করতে ব্যাংকে আবেদন করা হয়। ব্যাংকও আবেদন গ্রহণ করে পুনঃতফসিলের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
ইএইচটি/এমকেআর/এএসএম