ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত: ০৪:৫৩ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনের পর এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে সিনিয়র নেতাদেরকে তৃণমূলে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, “বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।”

তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের চেয়ে দলের কাউন্সিল নিয়েই এখন বেশি ভাবছে বিএনপি। গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১৯ মার্চ কাউন্সিল করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে দলটি।

এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিল অনুষ্ঠান করতে গণপূর্ত বিভাগ অনুমতি দিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি বিএনপি।

বৈঠক সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। তবে সেখানে অনুমতি না পেলে প্রয়োজনে কাউন্সিল পেছানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কাউন্সিল করার কথা ভাবছে দলটি। সম্মেলনস্থল পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রে সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগেই দলটি এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চায়।

কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএইচ খানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি রাজি না হলে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে নির্বাচন কমিশনার করা হবে। এছাড়া কাউন্সিলের আগে চেয়ারপাসন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে মূল কমিটির বাইরে গঠন করা হয়েছে আরো ১১টি উপ-কমিটি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া ২৩৪ পৌরসভার মেয়র পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে ১৮১টি, প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৪টি পৌরসভায় বিজয়ী হন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থীরা ভোট পান ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং বিএনপি মনোনীতরা পেয়েছেন ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। যদিও এ নির্বাচনকে মেনে নেয়নি বিএনপি।

এমএম/আরএস/আরআইপি