ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নির্বাচন না হলে দেশ আফগানিস্তান হতো : মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানি ধারায় চলে যেত বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে ১৪২তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের আয়োজনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে আফগানিস্তান মার্কা কারজাইর মতো একটি সরকার হতো। দেশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানি ধারায় চলে যেত। এ নির্বাচনের পর পৃথিবীর সব দেশ বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে। নির্বাচন না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার হতো না।

মন্ত্রী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পৃথিবীর সব দেশ বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী ও সাবের হোসেন চৌধুরী ভোটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লোকজন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নিয়েই তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) মানবেন না। সংবিধান না মেনে গাড়ি পোড়াবেন, পেট্রল ঢেলে নিরপরাধ নারী ও শিশু হত্যা করবেন, ট্রেন পোড়াবেন, গাছ কাটবেন, তা তো হতে পারে না। যতদিন সংবিধান মানবেন না, ততদিন কিসের আলোচনা? সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন হবে। সংবিধান মেনেই আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানা ঘটনা ও স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি ধারাবাহিক গণসংগ্রাম। ’৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াস গঠনের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র মুক্তি-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ’৭০-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে সকল আদেশ-নির্দেশের ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই দেশকে হানাদারমুক্ত করার লড়াই শুরু হয়।

মোজাম্মেল হক বলেন, ’৭৫ পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে খলনায়ক বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এক সময় ইংরেজরা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যার পর ফরমায়েশি ইতিহাস লিখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে যে, নবাব অযোগ্য, বদমেজাজি, মাতাল ও খারাপ লোক। অন্যদিকে মীরজাফরকে দেশপ্রেমিক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা আমাদের কারোরই অজানা নয়। ঠিক ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি চক্র এ ধরণের ফরমায়েশি ইতিহাস চর্চার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’৭৫-এর প্রত্যক্ষ খুনীদের আমরা বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু এখনো এই হত্যার সাথে যুক্ত নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা যায়নি।

নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ইফফাত আরা নার্গিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রশিক্ষণ কোর্সের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফেরদৌস আরা ও কোর্স পরিচালক এস এম রবিউল ইসলাম। সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।