ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গাজার পথে বাংলাদেশি যুবক নাছির উদ্দিন

আফছার হোসাইন | কায়রো থেকে | প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর গাজার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন বাংলাদেশি যুবক প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন। মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে তিনি বর্তমানে মিশরে অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত মানবিক সংস্থা ‘আশ ফাউন্ডেশন’র প্রেসিডেন্ট নাছির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। ২০২৩ সাল থেকে তিনি আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ফিলিস্তিনের জন্য নানাবিধ মানবিক উদ্যোগ পরিচালনা করছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দিয়ে শারজাহ হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছান তিনি। গাজায় প্রবেশের প্রস্তুতি হিসেবে এখন মিশরে অবস্থান করছেন এই মানবিক কর্মী।

কায়রোর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ‘বাংলালিয়ানায়’ এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নাছির উদ্দিন বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার গাজাবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার আমরা ২০২৩ সাল থেকেই পালন করে আসছি। আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আমরা বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’, বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’ এবং কায়রো থেকে ‘গ্লোবাল মার্চ টু গাজা’-তে অংশ নিয়েছি। সেই সময় মিশরীয় কর্তৃপক্ষ ইসমাইলিয়ায় আমার পাসপোর্ট জব্দ করে ও পরে তা ফেরত দিয়ে দেয়।

ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গাজার পথে বাংলাদেশি যুবক নাছির উদ্দিন

রোহিঙ্গা ক্যাম্প, তুরস্ক, মরক্কো, নেপাল ও আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে মানবিক সহায়তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করছেন—এই সংকটময় সময়ে গাজায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে কাজ করাই সবচেয়ে জরুরি।

নাছির উদ্দিন বলেন, গাজার মানুষের পাশে আমি দীর্ঘদিন বাইরে থেকে কাজ করেছি, কিন্তু এবার আমার একান্ত ইচ্ছা সশরীরে মসজিদুল আকসার ভূমিতে গিয়ে সহায়তা দেওয়া। গাজার অবশিষ্ট পরিবারগুলোকে নিজ চোখে দেখার অপেক্ষায় আছি।

গাজায় প্রবেশ করতে না পারলে কী করবেন—এমন প্রশ্নে প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন বলেন, এর আগেও আমরা মিশর থেকে ট্রাকে বোঝাই করে গাজায় ত্রাণ পাঠিয়েছি। এবারও যদি প্রবেশের সুযোগ না মেলে, তবে মিশর থেকেই আশ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ পাঠানো হবে, ইনশা আল্লাহ।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, গাজার স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহায়তায় আশ ফাউন্ডেশন আরও বৃহৎ পরিসরে জরুরি মানবিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারবে।

এমআইএইচএস/জেআইএম