ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি আটক

আহমাদুল কবির | মালয়েশিয়া | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২৫

মালয়েশিয়ায় বছরজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলেছে ব্যাপক অভিযান। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং আটক করছে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ক্যামেরন হাইল্যান্ডস এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৭৪ বাংলাদেশিসহ ৪৬৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (অপ জেম্পুর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চারটি জোনে অভিযান চালায়। যেখানে ব্যবসায়িক এলাকা, নির্মাণ সাইট এবং সবজি চাষের খামার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অভিযানে ৫৪৭ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ বিদেশি তখন সবজি প্যাকিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তখন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেন, স্থানীয় কমিউনিটির অভিযোগের ভিত্তিতে এক মাস আগে থেকেই এ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি আটক

তিনি বলেন, কাজের সন্ধানে থাকা অভিবাসীদের কাছে এ জেলা বেশ আকর্ষণীয়। আশপাশের কৃষি কার্যক্রমেও তাদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। উচ্চভূমির ভৌগোলিক অবস্থান, শহর থেকে দূরত্ব এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাহিদার কারণে এ এলাকা এখন বিদেশি শ্রমিকদের হটস্পটে পরিণত হয়েছে।

অভিযানে মোট এক হাজার ৮৮৬ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এর মধ্যে অভিবাসন আইন লঙ্ঘন— মেয়াদোত্তীর্ণ পাস, বৈধ ভ্রমণ নথির অভাবসহ বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জনকে আটক করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস নকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আটকদের মধ্যে মিয়ানমারের ১৭৫, বাংলাদেশের ১৭৪, ইন্দোনেশিয়ার ৬৭, নেপালের ২০, পাকিস্তানের ১৬, ভারতের ১১ এবং ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, চীন ও কম্বোডিয়ার একজন করে নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। ৩৮৮ জন পুরুষ, ৭৬ জন নারী ও চারজন শিশু। তাদের কেলান্তান, পেরাক ও সেলাঙ্গরে ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৮৩ হাজার ৯৯৪ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়াই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

এমএএইচ/এমএস