কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

কাতার বাংলাদেশ দূতাবাস দোহারের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দোহা আল হেলাল বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সম্মান জানানো হয়। জাতির পিতা, বঙ্গমাতা, তাদের পরিবারের নিহত সকল সদস্য ও অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সভার শুরুতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শোকাবহ ১৫ আগস্টের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘বাঙালির কালরাত’ প্রদর্শিত হয়।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ জাতির পিতার পরিবারের নিহত সদস্য ও ওই রাতে নিহত অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ গঠনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে ত্যাগ স্বীকার ও অবদান রেখেছেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই প্রতিদান দেওয়া সম্ভব বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার গৃহীত অসমাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সহযোগিতা দিতে আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অফ মিশন মো. ওয়ালিউর রহমান, কাউন্সিলর মোবাশ্বেরা কাদের, শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবির, কাউন্সিলর ভিসা ও পাসপোর্ট মাহাদি হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, কাতারে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ তাদের পরিবারের শাহাদত বরণকারী সকল সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এমআরএম/এমএস
বিজ্ঞাপন