ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

বাংলাদেশ-গ্রিস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ৩০ মে ২০১৬

বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের উদ্যোগে প্রথমবারের মত গ্রিসের আপেদিওনাতে প্রথম বাংলাদেশ-গ্রিস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। দুই দিনের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন গ্রিস সরকারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী স্টাভরোস কন্টোনিস এবং গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দীন।

মোট চারটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। এথেন্স থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশি শ্রমিক অধ্যুষিত এপেদিওনাতে অনুষ্ঠিত এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে ঘিরে শুধু প্রবাসী বাংলাদেশি নয়, স্থানীয় গ্রীক জনগণের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়।

গ্রিস সরকারের ক্রীড়া উপমন্ত্রী ছাড়াও চিপ অব দ্যা ডিস্ট্রিক অফ ওয়েস্টার্ন গ্রিস এপোসটুলুস কাতসিফেরাস, গ্রিসের দক্ষিণ আখাইয়ার মেয়র ক্রিস্টস নিকোলাস, স্থানীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন কৃষি খামার মালিকসহ সাধারণ গ্রীক নাগরিকরাও তাদের কাছে তুলনামূলকভাবে অপরিচিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখতে আসেন।

গ্রীক সরকারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী স্টাভরোস কন্টোনিস টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং গ্রীক নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন যে, এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন দুই দেশের জনগণ পরস্পরের কাছাকাছি আসতে সক্ষম হবে, তেমনি বাংলাদেশ ও গ্রিসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও দৃঢ়তর হবে।

greece

এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দেখেন গ্রীক সরকারের শ্রমমন্ত্রী জর্জ কাত্রোগালোস এবং বাংলাদেশ-গ্রিস পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান আন্দ্রিও রেজুলিস। সমাপনী অনুষ্ঠানে গ্রিসের শ্রমমন্ত্রী গ্রিসে কর্মরত সাধারণ বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং তাদের কল্যাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতার কথা বলেন।

গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দীন দূতাবাসের উদ্যোগে এই আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী গ্রীক নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন যে বাংলাদেশের মত গ্রিসেও একদিন ক্রিকেট জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং ক্রিকেটসহ অন্যান্য উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দুই দেশ আরও কাছাকাছি আসতে সক্ষম হবে।

গ্রীক কৃষি খামার মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদের খামারে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তারা যেন নিজের সন্তানতুল্য মনে করে সব সময় তাদের পাশে থাকেন এবং তাদের কল্যাণে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতা করেন।

এই টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশ ও গ্রিসের নদী ও স্থানের সাথে মিল রেখে দলগুলো নামকরণ করা হয় পদ্মা-মানোলদা, মেঘনা-মানোলদা, যমুনা-লাপ্পা এবং সুরমা-লাপ্পা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সুরমা-লাপ্পাকে ২৭ রানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় যমুনা-লাপ্পা।

এআরএস/পিআর