মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের কৌশল উদঘাটন
ছবি- সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম) অবৈধ প্রবাসীদের এক চতুর কৌশল উদঘাটন করেছে। তারা নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তাতে কোনো প্রবেশ বা প্রস্থান সিল ছাড়া ‘খালি পাসপোর্ট’ ব্যবহার করছিলেন, যেন তাদের অতিরিক্ত অবস্থানের (ওভারস্টে) রেকর্ড গোপন থাকে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সেলাঙ্গর জেআইএম-এর পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারুদ্দিন জানান, কুয়ালালামপুরস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে ইস্যুকৃত তিনটি খালি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো মালিকদের পূর্বের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের তথ্য আড়াল করতেই ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি জানান, যারা নতুন পাসপোর্ট করেছেন তাদের উচিত ছিল পুরোনো পাসপোর্টের অনুমোদন বা ভিসার তথ্য নতুন পাসপোর্টে স্থানান্তর করা। অনেকেই দাবি করেছেন পুরোনো পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেখা গেছে, ২০২৩ সালেই তারা নতুন পাসপোর্ট করলেও কোনো এন্ডোর্সমেন্ট স্থানান্তর করেননি।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের আচরণ মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর সেকশন ৬(১)(সি) লঙ্ঘন করে, কারণ পাসপোর্ট থাকলেও তাদের বৈধ কর্মপারমিট নেই।
খায়রুল আমিনুস অভিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান, যারা ওভারস্টে অবস্থায় রয়েছেন, তারা যেন চলমান মাইগ্র্যান্ট রিপ্যাট্রিয়েশন প্রোগ্রাম ২.০–এর আওতায় আত্মসমর্পণ করেন।
পরিচালক বলেন, এই প্রোগ্রামের আওতায় ওভারস্টে বিদেশিরা সেলাঙ্গরের যে কোনো ইমিগ্রেশন অফিস—শাহ আলম, কেলানা জয়া, পোর্ট ক্ল্যাং বা কাজাং এ গিয়ে কোনো আটকাদেশ ছাড়াই দেশে ফিরতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) পেটালিং জায়ার পেলাঙ্গি দামানসারায় রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বিভিন্ন দেশের মোট ২০০ জন বিদেশি শ্রমিকের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। তাদের মধ্যে মিয়ানমার, নেপাল, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও পাপুয়া নিউগিনির নাগরিকরা ছিলেন। তারা গৃহকর্মী, রেস্টুরেন্ট সহকারীসহ বিভিন্ন সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।
যারা ওভারস্টে, অননুমোদিত প্রবেশ বা পারমিটের শর্ত ভঙ্গের মতো অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের আটক করে পরবর্তী তদন্তের জন্য শাহ আলমে সেলাঙ্গর জেআইএম-এর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এমআরএম