মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক হলো ইপিএফ
ফাইল ছবি
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে আরও স্বচ্ছ, টেকসই ও ভবিষ্যতমুখী করতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ/কেডব্লিউএসপি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে দেখছে দেশটি।
নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা, স্বচ্ছতা ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মশক্তি পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি শক্তিশালী শ্রম ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা যেমন আসবে, তেমনি অর্থনীতির ভিত্তিও হবে আরও দৃঢ়।
এই বাধ্যতামূলক ইপিএফ কেবল আইনগতভাবে নথিভুক্ত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য হওয়ায় এটি আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে উৎসাহ জোগাবে। ফলে অনিবন্ধিত বা অবৈধ শ্রমিক ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে আইন মেনে চলা, শ্রমিক সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে।
নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই সংস্কার অনেকটাই আর্থিকভাবে নিরপেক্ষ। কারণ, অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রদত্ত ২ শতাংশ ইপিএফ অবদান মালয়েশিয়ার ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট ১৯৬৭ অনুযায়ী ব্যবসায়িক ব্যয় হিসেবে কর ছাড়যোগ্য- যেমনটি মালয়েশীয় কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো ইপিএফে নিবন্ধিত নয়, তাদের দ্রুত কোম্পানি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে এবং নতুন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পে-রোল সিস্টেম হালনাগাদ করতে হবে। আগাম প্রস্তুতি নিলে আইনগত ঝুঁকি কমবে এবং নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর কর্মী ব্যবস্থাপনাও হবে সহজ ও সুশৃঙ্খল।
বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ১৩ লাখ শ্রমিক এরই মধ্যে ইপিএফে সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। নিয়োগকর্তাদের সব ধরনের ইপিএফ লেনদেন KWSP i-Akaun (Majikan)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে।
এই সংস্কার শুধু একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়; এটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ মহলের কাছেও বার্তা বহন করে। মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমনীতি উন্নত করতে প্রস্তুত এবং একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করছে।
এমআরএম