মালয়েশিয়ায় সাড়ে ৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশির নিবন্ধন
মালয়েশিয়ায় চলছে বৈধ করণ প্রক্রিয়া। সেদেশের সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রি-হেয়ারিংয়ের আওতায় গত এক মাসে বিভিন্ন দেশের মাত্র ১০ হাজার শ্রমিক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার অবৈধ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ২০ লাখেরও বেশি অবৈধ শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে। যদিও দেশটির অভিবাসন আইন অনুযায়ী তাদের কাজ করার আইনগত অধিকার নেই।
দেশটির সরকার বারবার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগদাতা কোম্পানিগুলোর অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করে নিতে পুনঃনিবন্ধন প্রকল্পের সময়সীমা ৩০ জুন থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রিকে একটি গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারকে আলাদা করা হয়েছে। মোট ৫টি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশসহ একই গ্রুপের ১৫টি দেশের শ্রমিকদের নিবন্ধন করার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাই ইজির নেতৃত্বে পিএমএফ কনসোর্টিয়াম করা হয়েছে ৩টি কোম্পানিকে।
এছাড়া ইন্দোনেশীয়দের নিবন্ধন করার জন্য ইমান নামে একটি কোম্পানি কাজ করছে। অপরদিকে মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য বুকিত ইন্দাহ নামে একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মাই ইজি মনোনীত কয়েকটি কোম্পানি নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে শুরু হওয়া এ কাজ চলবে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। অবৈধদের বৈধকরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাই ইজির এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিদেশি শ্রমিক এখন আর প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সে দেশের সরকার মনোনীত মাই ইজি সরাসরি তদারকির মাধ্যমে আমাদের অফিসাররা অনলাইনে অবৈধ শ্রমিকদের নিবন্ধন করছেন।
মাই ইজির এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, যাতে অবৈধ শ্রমিকরা সুষ্ঠুভাবে বৈধ হতে পারে।’
এ দিকে সেদেশে বসবাসরত প্রবাসীরা বলছেন, দেরি না করে অবৈধরা নিজ নিজ কোম্পানির নামে নিবন্ধন করে নিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
সেদেশের সরকার অনলাইনে অবৈধ শ্রমিকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া কতটুকু সফল হবে সে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির শ্রমিক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এসএইচএস/এবিএস