ইসলামি বইমেলায় এনামুল করীম ইমামের ‘তুলাইহার তাওবা’
তুলাইহার তওবা ছবি: জাগো নিউজ
গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাজারে এসেছে হাদিস ও ইতিহাস গবেষক এনামুল করীম ইমামের ব্যতিক্রমধর্মী ইতিহাসগ্রন্থ ‘তুলাইহার তাওবা’। প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্ত্বরে চলমান ইসলামি আন্তর্জাতিক বইমেলার ১৮১-১৮২ মুহাম্মদ পাবলিকেশনের স্টলসহ দেশের অভিজাত লাইব্রেরিগুলোতে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাবাজারের ইসলামী টাওয়ার থেকে সরাসরি এবং রকমারি ডটকম ও ওয়াফি লাইফ ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
তুলাইহা ইবনে খুওয়াইলিদকে নিয়ে ইতিহাস পড়ুয়াদের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করে। কেননা তিনি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে যান। সাহাবিরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তিনি পালিয়ে রোম দেশে চলে যান। এইটুকু আমাদের জানা আছে অনেকেরই। তিনি তওবা করে পুনরায় ইসলামে ফিরে এসেছিলেন তাও জানেন কেউ কেউ। কিন্তু এই তুলাইহা-ই যে পারসিকদের হাজার বছর আগে নির্মিত শ্বেতপ্রাসাদে ধ্বংসের চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন, তার ক্ষিপ্রতার কাছে পরাভুত হয়েছিল পারসিকদের অনেক বড় বড় বীর যোদ্ধা, তার সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পারস্য সাম্রাজ্যের বিশাল সেনাবাহিনী—এই ইতিহাস অনেকেরই অজানা। ‘তুলাইহার তওবা’ বইয়ে লেখক দলিল-প্রমাণসহ তুলে ধরেছেন এই ইতিহাস।
মুরতাদ হয়ে ইসলামের ক্ষতি করে ফেলেছেন এই অনুশোচনা তুলাইহাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে আজীবন। এই অনুশোচনাই তাকে পারস্য রণক্ষেত্রে আরও বেশি সাহসী হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। শাহাদতের তামান্না নিয়ে তিনি ছুটেছেন দূরন্ত গতিতে। অবশেষে শাহাদতের অমীয় সুধা পান করে তিনি সবুজ পাখি হয়ে উড়াল দেন জান্নাতে। অনেকের দৃষ্টির আড়ালে পড়ে থাকা এই ইতিহাস উঠে এসেছে এই বইটিতে।
বইটিতে প্রাসাঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে আরবদের গোত্রীয় অবস্থানের প্রাচীন ইতিহাস। নবুয়্যতের মিথ্যা দাবির ক্ষেত্রে গোত্রীয় অহমিকার ভূমিকা ইত্যাদি।
এছাড়াও বইটিতে বিভিন্ন যুদ্ধের কাহিনী, আরবদের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার কথাও আলোচিত হয়েছে।
ওএফএফ