ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সোশ্যাল মিডিয়া

আমিনুল ইসলামের পোস্ট

‘কোথাও এমন জঘন্য এয়ারপোর্ট দেখি নাই’

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনিয়ম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ডিএনসিসির প্রশাসকের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা লেখক ড. আমিনুল ইসলাম। ৯ ডিসেম্বর ১১টা ১৩ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি এ বিষয়ে পোস্ট দেন। পোস্টটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

‘ঢাকা এয়ারপোর্টে নামার পর বিদেশি পাসপোর্টধারীদের একটা ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। আমি সামনে গিয়ে ফর্মটা নিতে যাব; ঠিক তখনই এয়ারপোর্টে কাজ করা একজন ব্যক্তি বললেন, ‘স্যার, এই নেন ফর্ম। আমি ফিলাপ করে দেই?’
বুঝতে পারলাম, তিনি আমার কাছে এরপর বকশিশ দাবি করবেন। সোজা বললাম, ‘না, আমার দরকার নেই।’

নিজেই ফর্ম সংগ্রহ করে ফিলাপ করছি। দেখি অন্য এক বাংলাদেশি ফর্ম নিতে এসেছেন। তাকে প্রায় তিনজন ব্যক্তি ঘিরে রেখে একই কথা বলছে, ‘এই নেন স্যার ফর্ম। ফিলাপ করে দেই?’
এই ব্যক্তি মনে হয় অনেকদিন পর দেশে এসেছেন। হাবভাব বুঝতে পারেন নাই। তিনি একজনকে বললেন, ‘ঠিক আছে করে দিন।’ অতি সাধারণ ফর্ম। নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নাম্বার ইত্যাদি। দুই মিনিটেই ফিলাপ করে দিয়ে এয়ারপোর্টের ওই লোক বকশিশ চাইলেন। পাশে দাঁড়ানো ভদ্রলোক বললেন, ‘আমার কাছে তো বাংলাদেশি টাকা নেই।’
‘তাহলে বিদেশি টাকা দেন।’
শেষমেশ ওই লোক ১০ ইউরোর একটা নোট বের করে দিলেন। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দেড় হাজার টাকা। জানি না অনেক দিন পর বাংলাদেশে নেমেই নিজ মাতৃভূমিতে এই অভিজ্ঞতা তার কেমন লেগেছে।

গেলাম বাথরুমে। ক্লিনার দাঁড়িয়েই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সালাম দিয়ে বলল, ‘স্যার টিস্যু লাগবে।’
যেহেতু বছরে তিন-চার বার দেশে আসি। ব্যাপারটা জানি। সে এরপর বকশিশ চাইবে। সোজা বললাম, ‘না, লাগবে না।’
কিন্তু পাশে থাকা আরেকজন টিস্যু নিয়েছে এবং তাকে বকশিশ দিতে হয়েছে। এই যে বাথরুমে গেলে ক্লিনাররা এভাবে টিস্যু অফার করে। মানে বাথরুমে গিয়েও শান্তি নেই।

আরও পড়ুন
শাহজালালে আগুন, কী বলছেন নেটিজেনরা? 
ফেসবুকে হঠাৎ আলোচনায় হ‌ুমায়ূন-গুলতেকিন 

আপনারা এইসব ঠিক করতে পারেন না কেন? জানি না এটা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিমান নাকি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়? যে মন্ত্রণালয়েই হোক। দুজন উপদেষ্টাই আমার ফেসবুক বন্ধু। নিশ্চয়ই আপনারা এই লেখা পড়বেন। যুগের পর যুগ এইসব দেখে আসছি। একটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কি এভাবে চলতে পারে?

যে উগান্ডা নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা হাসিঠাট্টা করি। সেই উগান্ডার এয়ারপোর্টও তো এর চাইতে অনেক ভালো। আফ্রিকার প্রায় সব দেশের এয়ারপোর্ট আমাদের চাইতে অনেক উন্নত, পরিষ্কার এবং সিস্টেম্যাটিক। যে ৮১টা দেশে আমি গিয়েছি। কোথাও এমন জঘন্য এয়ারপোর্ট দেখি নাই।

আপনারা যারা উপদেষ্টা আছেন। তাঁরা কি যান নাই? আপনারা করেনটা কী? এই সামান্য জিনিস ঠিক করতে পারেন না। কেন একটা অ্যারাইভাল স্লিপ দেওয়ার জন্য লোকজন দাঁড়িয়ে থাকবে, এরপর টাকা চাইবে? কেন একটা ওয়াশ রুমে গিয়ে শান্তি নাই। টিস্যু পেপার নেওয়ার জন্য বকশিশ দিতে হয়।

অনেক সময় বাথরুমে টিস্যু পেপার থাকেই না। যাতে করে ক্লিনারদের কাছে চাইতে হয়। ওরা আগে থেকেই টিস্যু পেপার বাথরুমে না রেখে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এরপর লোকজনকে আলাদা ভাবে টিস্যু পেপার অফার করে বকশিশ দাবি করে। বাংলাদেশ অ্যান্ড বাংলাদেশি সিস্টেম!’

এসইউ

আরও পড়ুন