শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
ছবি শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপসহ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৭০০ জনকে আবাসনের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। স্টাটাসটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘‘দক্ষ, সৎ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম বিনির্মাণ আমাদের অন্যতম স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব স্বাস্থ্যকর আবাসনের উদ্যোগ নিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রথম পর্যায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু হচ্ছে এই কার্যক্রম। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স রুমে সাক্ষরিত হয়েছে এর চুক্তিপত্র।
এই উদ্যোগে থাকবে শিক্ষাবান্ধব মানসম্মত আবাসন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ইংরেজি, কারিগরি ও নৈতিক শিক্ষাসহ নানামুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। ইনশাআল্লাহ, পর্যায়ক্রমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হবে এই কার্যক্রম।
সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনার মান নিশ্চিত করতে সচ্ছলরা এখানে নিজের ব্যয়ভার নিজেই বহন করবে। অসচ্ছলদের জন্য থাকবে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। আমাদের স্বপ্ন, এই আবাসনের শিক্ষার্থীরা তারুণ্য বিধ্বংসী সকল পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হয়ে একমনে পড়ালেখা করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। এতে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।
আরও পড়ুন
- ব্যক্তিগত সহযোগিতা সম্পর্কে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- উদ্ভাবনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার ঘোষণা দিলেন মিজানুর রহমান আজহারী
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আধুনিক শিক্ষার প্রসার ও পৃষ্ঠপোষকতায় চার্চগুলোর ভূমিকা থাকলেও আধুনিক শিক্ষাখাতে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের উদ্যোগ এবারই প্রথম এবং যুগান্তকারী। এ জন্য তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গণমাধ্যম এবং উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে আমি যা বলেছি, তার সারমর্ম হলো: প্রথম পর্যায়ে ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হলেও ধাপে ধাপে কয়েক হাজারে উন্নীত করার স্বপ্ন আমরা দেখছি, যার অধীনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও থাকবে। তবে এ কাজে আমাদের বাধা হলো তহবিল স্বল্পতা। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই সেবাটিকে আমরা বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আজকের দক্ষ, মানবিক ও নৈতিক চেতনাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি। এই ধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা যত বাড়বে, তত সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন থেকেই আমাদের এই আয়োজন। এর পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি নিয়েও আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা আছে।’’
এসইউ/এমএস