ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তানের কোচ থাকবেন না ট্টট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তার মেয়াদ শেষ করবেন। সেই বিশ্বকাপই হবে আফগানিস্তান দলের সঙ্গে ট্রটের শেষ দায়িত্ব।

এসিবি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এসিবি স্বীকার করছে যে কোচিং পরিবর্তন বিশ্ব ক্রিকেটের স্বাভাবিক একটি অংশ। যেমন দল সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়, তেমনি তাদের নেতৃত্ব ও কৌশলগত প্রয়োজনও পরিবর্তিত হয়। কোনো আন্তর্জাতিক দল চিরদিন এক কোচের অধীনে থাকে না। এই পরিবর্তন আফগানিস্তানের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে, যা দলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কৌশলের অংশ।’

জনাথন ট্রট ২০২২ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার অধীনে আফগানিস্তান হোয়াইট-বল ক্রিকেটে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) শক্তিশালী এক প্রতিদ্বন্দ্বী দলে পরিণত হয়।

তার কোচিং মেয়াদে আফগানিস্তান খেলেছে— ৪৩টি ওয়ানডে, এর মধ্যে ২০টি জয়, ৬১টি টি-টোয়েন্টি, এর মধ্যে ২৯টি জয়।

এ সময়ে দলটি বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জয় তুলে নেয়, বিশেষ করে ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের (সেমিফাইনাল খেলা) পেছনে ট্রটের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য।

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়, সম্ভাব্য সময় ফেব্রুয়ারি ৭ থেকে মার্চ ৮ পর্যন্ত। সেটিই হবে ট্রটের শেষ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব আফগানিস্তান দলের সঙ্গে।

ট্রটের প্রাথমিক চুক্তি ছিল ১৮ মাসের জন্য, কিন্তু তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হয়ে বোর্ড প্রথমে ২০২৪ সালের জন্য, পরবর্তীতে আবার ২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ায়।

বোর্ড জানিয়েছে, ট্রটের বিদায়ের পর তারা আফগান ক্রিকেটের পরবর্তী ধাপের জন্য নতুন কৌশল ও নেতৃত্ব খুঁজছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বোর্ড দীর্ঘমেয়াদে দলের স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জোনাথন ট্রটের কোচিংয়ে আফগানিস্তান শুধু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেনি, বরং বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তার বিদায় আফগান ক্রিকেটে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে। তবে তার রেখে যাওয়া সাফল্য ও দিকনির্দেশনা আফগান ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরও অনেক দূর।

আইএইচএস/