ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

দলে না রাখায় ব্যাট দিয়ে কোচকে মারধর, মাথায় ২০ সেলাই

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

পক্ষপাতিত্বের কারণে দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগ তুলে কোচকে ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মেরেছেন ভারতের তিন ক্রিকেটার। কোচ এতটাই আঘাত পেয়েছেন যে, মাথায় ২০টি সেলাই পড়েছে তার।

শুধু মাথায় নয়, আঘাত পেয়েছেন শরীরের অন্যান্য অংশেও। যার জেরে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই কোচ। ভুক্তভোগী এস ভেঙ্কটারামন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরির (সিএপি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের খুঁজছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ৮ ডিসেম্বর পন্ডিচেরি ক্রিকেট সংস্থার কমপ্লেক্সে। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে একাধিক তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কীভাবে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলানো হচ্ছে পন্ডিচেরির হয়ে, তা তুলে ধরা হয়েছে। তার জন্য ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সংস্থার কর্তা থেকে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে এই কাজে। সবই চলেছে বোর্ডের নাকের ডগায়।

স্থানীয় সেদরাপেট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ভেঙ্কটারামন। সাব-ইনস্পেক্টর এস রাজেশ বলেছেন, ভেঙ্কটারামনের কপালে ২০টি সেলাই পড়েছে। এখন স্থিতিশীল। তিন ক্রিকেটারই পালিয়েছে। আমরা ওদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। থানায় করা অভিযোগে ভেঙ্কটারামন জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সিএপি কমপ্লেক্সের ইন্ডোর নেটে ছিলেন। তখন পন্ডিচেরির তিন ক্রিকেটার কার্তিকেয়ন, অরবিন্দরাজ এবং সন্তোষ কুমার এসে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন।

সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় ওই তিন ক্রিকেটারের বাদ পড়ার নেপথ্যে ভেঙ্কটারামনকেই দায়ী করেন। অরবিন্দরাজ হঠাৎ ভেঙ্কটারামনকে চেপে ধরেন। সন্তোষের নিয়ে আসা ব্যাট হাতে নিয়ে কার্তিকেয়ন নাকি কোচকে মারধরও করেন। খুনও করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ভেঙ্কটারামন।

এমএমআর