একের পর এক ক্যাচ মিস, হেরেই গেলো বাংলাদেশ
সুযোগ ছিল এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করার; কিন্তু একের পর এক ক্যাচ মিস এবং বাজে ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত সে সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। বরং পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ফিরলো।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৬ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১ বল হাতে রেখে জয় পায় সফরকারীরা। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-২ সমতা এখন। ১২ই ডিসেম্বর শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে এখন অলিখিত ফাইনালে।
রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। ১৭ বলে ৩৩ রান আসে উদ্বোধনী জুটিতে। কোমাল খানকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন হাবিবা ইসলাম পিংকি। ১১ বলে ২২ রান করে ফেরেন কোমাল। তিনে নামা রাভাইল ফারহানকে দ্রুতই বোল্ড করেন জারিন তাসনিম লাবণ্য। নিজের পরের ওভারেই টানা দুই বলে আরো দুইটি উইকেট নেন লাবণ্য। আউট হন জুফিশান আয়াজ ও আরিশা আনসারি।
৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ফাইজা ফাইয়াজকে নিয়ে এগোতে থাকেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমান নাফিজ। তবে তাদের একাধিকবার ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
১৬তম ওভারেই স্বাগতিক ফিল্ডারদের হাত থেকে দু’বার ক্যাচ মিস হয়। এরপর ১৭তম ওভারেও ফাইজার সহজ ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ। এতবার সুযোগ পেয়ে আর কোনো ভুল করেননি ফাইজা ও ইমান। ১৮.১ বলে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। ৪৭ বলে ৪২ রান করেন ইমান আর ফাইজার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৩১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন জেরিন তাসনিম।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ২১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান। তিনটি বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। আরেক ওপেনার সাদিয়া নুসরাত আউট হন ৩ চারে ১৪ বলে ১২ রান করে।
অধিনায়ক সাদিয়া ইসলাম আগের ম্যাচে সেরা হলেও আজ রান পাননি। ১০ বলে মাত্র ৬ রান করেই বিদায় নেন তিনি। তারপর অচেনা জান্নাত সূচনা ও মায়মুনা নাহার মিলে গড়েন ৪২ বলে ৪৮ রানের জুটি। দলীয় ১০২ রানে ফেরার আগে জান্নাত সূচনার নামের পাশে জমা হয় ৩৪ বলে ৪ চারে ৩৫ রান। মায়মুনার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ২৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রোজিনা আকরাম ও মেমুনা খালিদ।
এসকেডি/আইএইচএস/