বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে
যেকোনো খেলার বিশ্বকাপ এলেই পরিচিত হতে হয় অচেনা সব দেশের সঙ্গে। আন্ডারডগরা বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রায়শই জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপের মূলপর্বে। ফুটবল বিশ্বকাপে এমন ঘটনা ঘটে থাকে অহরহ। যেমন ২০১৮ সালে আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার। সেই দেশটিই জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপে। গ্রুপপর্বে ১-১ গোলে রুখে দেয় মেসির আর্জেন্টিনাকেও।
কিছুদিন আগে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ কেপ ভার্দেও কেটেছে বিশ্বকাপের টিকিট। যাদের জনসংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজারের কম। একইভাবে বিশ্বকাপ টিকিট কাটার কাছাকাছি আছে কুরাসাও। শেষ পর্যন্ত যদি কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশটি বিশ্বকাপে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলে, তবে সেটি হবে আরেক নতুন ইতিহাস।
মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। কুরাসাও বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে পারলে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবেও বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার রেকর্ডটি কেড়ে নেবে কেপ ভার্দের (৪০০০ বর্গকিলোমিটার) কাছ থেকে।
ক্যারিবিয়ান সাগরে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে অবস্থান কুরাসাওয়ের। ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি হলেও খেলাধুলায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি প্রধানত দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত—একটি হলো মূল কুরাসাও দ্বীপ, আর অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কুরাসাও। এরপর সম্ভাবনা হয়েছে আরও উজ্জ্বল। বারমুডার বিপক্ষে জোড়া গোল করা জর্ডি পাউলিনা খেলেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। আগামী ১৯ নভেম্বর জ্যামাইকার বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপ।
ডিক অ্যাডভোকাট কুরাসাওয়ের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই মূল কারিগর কুরাসাওয়ের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব উত্তোরনের সম্ভাবনা তৈরির। এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আইএন/এমএমআর/জেআইএম