সহজেই সেনেগালকে হারাল ব্রাজিল
আফ্রিকান দেশের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত লাতিন ফুটবলের দুই বড় দলের। একদিন আগেই অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার সেনেগালের বিপক্ষে ব্রাজিলও জিতল একই ব্যবধানে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের দাপুটে পারফরম্যান্সেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সেলেসাওদের। তরুণ এস্তেভাও ও অভিজ্ঞ ক্যাসেমিরো গোল দুটি করেন ব্রাজিলের হয়ে।
কার্লো আনচেলত্তির শীষ্যরা প্রথমার্ধেই আক্রমণের পর আক্রমণ করে দিশেহারা করে তোলে সেনেগালকে। এস্তেভাও, ম্যাথিউস কুনহা, রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দাপটে সুবিধা করতে পারছিল না সেনেগাল।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ফরোয়ার্ড কুনহার হেড বার কাঁপানোর পর ব্রাজিল লিড পায় ২৮ মিনিটে। কাসেমিরোর পাস নিয়াখাতের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে এবং বক্সের ডান পাশে থাকা এস্তেভাওয়ের সামনে এসে পড়ে। বাম পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান তিনি।
১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের এটি চতুর্থ গোল গত ১০ ম্যাচে। এমন পারফরম্যান্সে তিনি বার্তা দিচ্ছেন আগামী বিশ্বকাপে তাকে নজরে রাখতে হবে।
প্রথমার্ধেই সেলেসাওরা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৩৩ মিনিটে সেই দায়িত্ব নেন অধিনায়ক ক্যাসেমিরো। ৩৫ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়ে যায় ব্রাজিল। শট নেন রদ্রিগো। ডি বক্সের ভেতর ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্যাসেমিরো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেরি করেননি প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে।
প্রথমার্ধের এই দুই গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার চেষ্টা চালালেও আর গোল করতে সক্ষম হয়নি দলটি।
বিরতির পরপরই ব্রাজিলের গোলকিপার এডারসনের অসাবধানতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেনেগালের ইলিমান গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার শট দূরের পোস্টের বাইরে চলে যায়।
দুইবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার সাদিও মানে ছিলেন নিষ্প্রভ। ৭৫ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় মাঠ থেকে। দুই দলেরই ছিল একটি করে পরিবর্তন।
ব্রাজিল ও সেনেগাল প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। পরবর্তী দেখায় ২০২৩ সালের জুনে আবারও দুই দল একে-অপরের মুখোমুখি হয়। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় পায় সেনেগাল।
শেষ পর্যন্ত সেই হারের জবাব দিল কার্লো আনচেলত্তির দল।
আইএন/জেআইএম