অস্ট্রেলিয়ার কাছে এতটা অসহায় আইসিসি!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে সফলভাবে শেষ হলো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এগারোতম আসর। আর চমৎকার একটি টুর্নামেন্ট উপহার দেয়ায় বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে আইসিসি। তবে নিজদের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেছে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশে না আসা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কোন পদক্ষেপ না নিতে পারার কথা স্বীকার করেছে তারা। আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষে আয়োজনের খুঁটি-নাটি জানাতে স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডেভিড রিচার্ডসনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, আইসিসি প্রেসিডেন্ট জহির আব্বাস, বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ চুক্তিমূলক একটি ব্যাপার। এ কারণে কোন দলের যে কোন ধরণের ক্ষতি এখানে দেখা হয়। অন্য আরও একটি ব্যাপার হলো আমরা দলকে জোর করতে পাড়ি না। আমি আগেই বলেছি, এটা চুক্তির মাঝে থেকেই করতে হবে; কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তাদের নিজেদেরই নিতে হবে। ’
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগেও বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া তাদের দল পাঠায়নি; কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে অস্ত্রেলিয়ার ফুটবল দল বাংলাদেশে খেলতে বাধ্য হয়েছে। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সঙ্গে পেরে উঠতে না পারলেও আইসিসিকে উপেক্ষা করে নিজেদের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা। এর আগেও কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কায়ও নিরাপত্তা ইস্যুতে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। তাই তাদের বিপক্ষে আইসিসি কি পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘একটা সদস্য দেশের এভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া ঠিক নয়। অবশ্যই এটা অন্যায়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যা বলেছে তার উত্তর তারা পেয়ে গেছে। ওই মুহূর্তে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা এই জন্য সন্তুষ্ট।’
তবে বাংলাদেশের আয়োজনে দারুণ খুশি রিচার্ডসন। বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আগামীতে কাজে লাগাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে, অস্ট্রেলিয়া তাদের দল না পাঠানোর পরও আমরা বাংলাদেশে খেলা চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় এটা সম্পূর্ণ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা এখন ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে ফোকাস করছি। নিঃসন্দেহে সেখানেও নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে। আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি