ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

অপরিষ্কার ইয়ারবাড ব্যবহারে কমতে পারে শ্রবণশক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বর্তমানে ইয়ারবাড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গান শোনা, অনলাইন ক্লাস, অফিস মিটিং কিংবা ফোনে কথা বলা সব ক্ষেত্রেই ইয়ারবাডের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। ইয়ারবাড ছোট একটি যন্ত্র হলেও এর ভুল ব্যবহার বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

যদি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তবে তা ধীরে ধীরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সামান্য অবহেলায় শ্রবণশক্তি হারানোর মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা অনেক সময় আর পুরোপুরি ঠিক হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিষ্কার ইয়ারবাড ব্যবহারের ফলে কানে সংক্রমণ থেকে শুরু করে স্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাস পর্যন্ত হতে পারে।

তাই নিয়মিত পরিষ্কার, সীমিত সময় ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলাই সুস্থ কানের চাবিকাঠি। আসুন জেনে নেই কী করবেন- 

ইয়ারবাডে কীভাবে জমে জীবাণু

ইয়ারবাড সরাসরি কানের ভেতরের স্পর্শকাতর অংশের সংস্পর্শে আসে। কানের ভেতরে থাকা ময়লা, ঘাম ও তেল ইয়ারবাডের জালে জমে থাকে। পাশাপাশি বাইরে বহন করার সময় ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়াও লেগে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অপরিষ্কার ইয়ারবাডে স্ট্যাফাইলোকক্কাসসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে পারে, যা কানে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

কানের সংক্রমণ থেকে শ্রবণশক্তি ক্ষয়

নোংরা ইয়ারবাড দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কানে চুলকানি, ব্যথা, লালচে ভাব এবং দুর্গন্ধযুক্ত তরল নিঃসরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ উপেক্ষা করলে সংক্রমণ গভীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে সাময়িক নয়, বরং স্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাসের আশঙ্কাও তৈরি হয়।

ইয়ারওয়াক্স জমে যাওয়ার ঝুঁকি

অপরিষ্কার ইয়ারবাড কানের ভেতরে ইয়ারওয়াক্স বা কানের ময়লা আরও ভেতরে ঠেলে দেয়। এতে কানের নালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং শব্দ কম শোনা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা কানে চাপ অনুভব করার সমস্যাও দেখা দেয়, যা দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শিশু ও তরুণদের ঝুঁকি বেশি

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু ও তরুণরা দীর্ঘ সময় ধরে ইয়ারবাড ব্যবহার করে থাকায় তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। অনেকেই একই ইয়ারবাড বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে, যা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়। অপরিষ্কার ইয়ারবাড থেকে ছড়ানো জীবাণু সহজেই এক জনের কান থেকে অন্য জনের কানে পৌঁছে যায়।

কীভাবে ইয়ারবাড নিরাপদ রাখবেন

ইয়ারবাড নিরাপদ রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। সপ্তাহে অন্তত একবার নরম কাপড় বা তুলোতে সামান্য অ্যালকোহল বা জীবাণুনাশক তরল নিয়ে ইয়ারবাডের জাল পরিষ্কার করা উচিত। কখনোই ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া অন্য কারো ইয়ারবাড ব্যবহার এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থ অবস্থায় ইয়ারবাড ব্যবহার না করাই ভালো।

আরও পড়ুন

এক গ্যাজেটেই পাবেন একাধিক ফিচার
১০ মিনিট চার্জে ৪ ঘণ্টা চলবে এই ইয়ারবাড

কেএসকে

আরও পড়ুন