ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারের সহায়তা কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

উচ্চ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানসহ দেশের অর্থনীতিতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হলেও বাংলাদেশের প্রধান দশটি খাতের তালিকায় নেই পর্যটন খাত। এতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে নীতিসহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে সরকারের সহায়তা চান তারা।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ব্যবসায়ীরা এ সহায়তা চান।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হয়েছে। তবে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোসহ সরকারি নীতিসহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে পর্যটন খাত দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানে থাকবে বলে মনে করেন তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অনেক প্রসার হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে এখন এদেশে। জটিলতা থেকে ধীরে ধীরে বের হচ্ছি আমরা। তবে এ খাতের প্রসারে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের আরও বেশি উন্নয়নসহ আমদানিতে দিতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে পর্যটন খাতে কমপ্লায়ান্স নিশ্চিতকরণসহ সুবিধাদি বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের পর্যটকদের সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ সহজ করা গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখা যাবা বলে মনে করেন তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইয়ের আরেক সহ-সভাপতি এম এ মোমেন পর্যটন খাতের দেশি ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে আগামী বছরের মার্চ মাসে এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে পরামর্শ দেন।

এফবিসিসিআইয়ের আরেক সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিনুল হক শামীম জানান, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১১০ কোটি মানুষ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে। বাংলাদেশি পর্যটকরা অনেক বেশি অর্থ খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ করলেও বিদেশি পর্যটকদের এদেশে ভ্রমণ অনেক কম। পর্যটন খাতের প্রসারে সংশ্লিষ্ট পরিবহন, জাহাজ ইত্যাদি আমদানিকে ভ্যাট-ট্যাক্স মুক্ত তালিকায় সংযুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ে দূতাবাসগুলোতে পর্যটন বই রাখা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন- এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার, হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, এইচ এম আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইরফান আহমেদ, জালাল উদ্দিন টিপু প্রমুখ।

লাইসেন্স বা ছাড়পত্র সহজীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও বেশি উন্নয়ন, দেশের সব পর্যটনকে লাইসেন্সের আওতায় আনা, ট্যুরিস্ট গাইডদের প্রশিক্ষণে সরকারি তহবিলের ব্যবস্থার দাবি জানান বক্তারা।

ইএআর/কেএসআর/এএসএম