লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকেই শোবিজে যাত্রা শুরু অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। সময়ের সঙ্গে নাটক ও ওয়েব ফিল্মে নিয়মিত কাজ করে তৈরি করেছেন নিজের শক্ত অবস্থান। বড় পর্দাতেও রেখেছেন স্বতন্ত্র ছাপ, অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের রূপ ও ফিটনেস দিয়েও আলাদা করে নজর কাড়েন বাঁধন। ৪০ বছর পেরিয়েও ভক্তদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনাবিল মুগ্ধতা। সাহসী উপস্থিতিতে যেমন আত্মবিশ্বাসী, তেমনি কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে ফিট রাখার ক্ষেত্রেও আপসহীন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি নিজের ফিটনেস যাত্রার গল্প অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন বাঁধন। সামাজিক মাধ্যমে আলাদা দুটি ছবি প্রকাশ করে দেখিয়েছেন ৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজিতে আসার রূপান্তর। তার এই পরিবর্তন দেখে ভক্তরাও রীতিমতো চমকে গেছেন।
ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি- আমি এটি করেছি! এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও বংশগত কারণে ওজন বাড়াকে তুচ্ছ করার ফলেই আমার ওজন বেড়েছিল। তবে সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন ও আত্মবিশ্বাসের জোরে মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি।’
অভিনেত্রী জানান, এই পুরো যাত্রায় তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার মেয়ে। মেয়েই তাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বাঁধনের ভাষায়, ‘এটি শুধু ওজন কমানো নয়- এটি নিরাময়, শক্তি ও আত্মসম্মানেরও প্রতীক। আমি এখনো এগিয়ে চলেছি।’
বাঁধনের এই পরিবর্তনে অনুরাগীদের প্রশংসার বন্যা। একজন লিখেছেন, ‘ওয়াও! এটা অনুপ্রেরণামূলক।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘সত্যিই চমৎকার!’
কাজের দিক থেকেও ব্যস্ত সময় পার করছেন আজমেরী হক বাঁধন। বর্তমানে নির্মাতা তানিম নূরের নতুন সিনেমা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:৬ বছর আগেই ভেঙেছে অভিনেতা অপুর সংসার, প্রকাশ করলেন স্ত্রী নতুন সিনেমায় বিদ্যা সিনহা মিম
বাঁধন জানান, এই সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্তে তার মেয়ের উৎসাহ বড় ভূমিকা রেখেছে। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার খুব পছন্দের। তানিম নূর যখন চরিত্রটির কথা বললেন, তখন আমার মেয়ে বলেছে- তুমি এটা করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত প্রিয়, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তার গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি- এটা আমার কাছে সত্যিই বিশেষ।’
এমএমএফ