সারাবছরই বাজারে সব ধরনের সবজি পাওয়া যায়। তবু শীতের সময় টাটকা সবজি খাওয়ার আনন্দ আলাদা। এই তালিকায় বাঁধাকপি অন্যতম। শীতের বাইরে অন্য সময়ে কেনা বাঁধাকপিতে স্বাদ কম থাকে, দ্রুত শুকিয়ে যায়, আর টাটকাও হয় না। তাই অনেকেই ভাবেন-এই সবজি কি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়? চাইলেই যায়। সঠিক পদ্ধতিতে বাঁধাকপি সংরক্ষণ করলে ছয় মাস থেকে এক বছর, এমনকি তারও বেশি সময় ভালো রাখা সম্ভব।
শুধু ফ্রিজে রেখে দিলেই হবে না। কারণ সাধারণভাবে ফ্রিজে রাখলে বাঁধাকপি ৭ দিনের মধ্যেই খেয়ে নিতে হবে। তবে একটু পরিকল্পনা করলে সারা বছরই এই শীতের সবজি উপভোগ করা যাবে।
১. ফ্রোজেন করে সংরক্ষণ এখন বাজারে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন সবজি পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর অনেকগুলোই প্রিজারভেটিভ থাকে, যা নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই বাঁধাকপি ফ্রোজেন কিনে আনার পরিবর্তে বাড়িতেই হিমায়িত করে রাখা সবচেয়ে ভালো।
প্রথমে বাঁধাকপি ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন। এরপর ফুটন্ত পানিতে প্রায় তিন মিনিট সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানিতে দুই মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে বাঁধাকপির রং ও গুণ বজায় থাকবে। পানি ঝরিয়ে নিয়ে জিপলক ব্যাগে ভরে ফ্রিজারে রাখুন। ফ্রিজারের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম হওয়া জরুরি। এইভাবে বাঁধাকপি প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।
২.ফার্মেন্টেড করে সংরক্ষণবাঁধাকপি সংরক্ষণের আরেকটি পুরোনো কিন্তু কার্যকর উপায় হলো ফার্মেন্টেশন। এখন কিমচির জনপ্রিয়তা বাড়লেও আলাদা করে কিমচি বানানোর প্রয়োজন নেই। সাধারণ ফার্মেন্টেড বাঁধাকপিও সারা বছর খাওয়া যায়।বাঁধাকপি মাঝারি আকারে কেটে একটি বড় পাত্রে নিন। তাতে লবণ, পছন্দমতো গুঁড়া মসলা ও ভিনিগার মিশিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি একটি কাচের এয়ারটাইট বোতলে ভরে রাখুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঁধাকপি ফার্মেন্টেড হয়ে যাবে। এইভাবে সংরক্ষণ করা বাঁধাকপি প্রায় দুই বছর পর্যন্ত খাওয়া যায়। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করলে শীতের বাঁধাকপি আর শুধু শীতকালেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সারা বছরই পাওয়া যাবে টাটকা স্বাদ আর পুষ্টিগুণ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:শীতে বিটরুট কেন খাবেন?শীতে হজম ঠিক রাখবে এই সবজি
এসএকেওয়াই/এমএস