অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের মামলায় আগামীকাল (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন। এদিন আদালতে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৬ নভেম্বর মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসার পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা জারির পর তারা ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
সেদিন সন্ধ্যার দিকে মেহজাবীন চৌধুরী ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন পাওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেননি। তবে তার পক্ষে আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তুহিন হাওলাদার বলেন, প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাদী এই মামলা করে থাকতে পারেন। হয়রানির উদ্দেশেই পুরো ঘটনা সাজানো হয়েছে, যাতে মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। তিনি দাবি করেন, বাদীর সঙ্গে মেহজাবীন কিংবা তার ভাইয়ের আগে কখনো কোনো পরিচয় বা কথাবার্তা হয়নি। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় একাধিক অসংগতি রয়েছে। বাদী জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত করেননি, মামলার পক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণও দেননি। যে ২৭ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে, তা কোন বিকাশ নম্বর থেকে পাঠানো হয়েছে সেটি সহজেই যাচাই করা সম্ভব। এছাড়া মামলার ঘটনাস্থল হাতিরঝিল উল্লেখ থাকলেও মামলা করা হয়েছে ভাটারা থানায়, যা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বাদী ও আসামিদের যে ঠিকানা মামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
আজ বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী তুহিন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, মামলাটিতে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামীকাল যদি আদালত বসে, আমরা আমাদের পক্ষের আইনগত দিকগুলো তুলে ধরব। সেভাবেই আমাদের জবাবের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
আরও পড়ুন:আত্মসমর্পণ করতে আদালতে অভিনেত্রী মেহজাবীন
মামলার বাদী আমিরুল ইসলামের অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে নতুন পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপণ করা হয় এবং হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি ২৪ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন:অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাদয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, মানবিক হোন: মেহজাবীন
উল্লেখ্য, গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মেহজাবীন চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, অনলাইনে তার নাম ব্যবহার করে ভিত্তিহীন মামলা সংক্রান্ত সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধও জানান।
এমডিএএ/আরএমডি