পার্থ ও ব্রিসবেনে ব্যর্থতার পর অ্যাডিলেড টেস্টকে অ্যাশেজে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তৃতীয় টেস্টেও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারছে না ইংলিশ ব্যাটাররা।
ছোট ছোট জুটি গড়েও সেগুলো বড় করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১৩। অজিদের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে এখনও ১৫৮ রানে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে বোর্ডে আরও ৪৫ রান যোগ হতেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭১ রান। জোফরা আর্চার সর্বোচ্চ ৫ উইকেট পেয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ৯ রান করে কামিন্সের বলে ক্রলি ফেরার পর ১ রানের ব্যবধানে ওলি পোপ (৩) ও বেন ডাকেটকে (১৯) ফিরিয়ে গ্লেন ম্যাকগ্রার রেকর্ড টপকে যান নাথান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনি। ৪২ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
২৯ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। ১৯ রান করার পর রুট কামিন্সের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৭১ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের আরও একটি ছোট জুটি হয় ব্রুক ও বেন স্টোকসের। ৫৬ রানের সেই জুটি ভাঙেন ক্যামেরন গ্রিন ৪৫ রান করা ব্রুককে ফিরিয়ে। ১২৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
জেমি স্মিথকে নিয়ে স্টোকস ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় জুটি হয় ৩২ রানের। ২২ রান করা জেমি স্মিথকে কামিন্স ফেরান নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে। ষষ্ঠ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড আবারও ধসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে।
১৬৮ রানে সপ্তম ও অষ্টম উইকেটেরও পতন হয় উইল জ্যাকস (৬) ও ব্রাইডন কার্সের (০) বিদায়ে। দুটি উইকেটই নেন স্কট বোল্যান্ড।
এরপর জোফরা আর্চারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন স্টোকস। অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৫৮ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ১৫১ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ওয়ানডে মেজাজে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত আর্চার।
দ্বিতীয় দিনে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। সমান দুটি করে উইকেট পেয়েছেন স্কট বোল্যান্ড ও নাথান লায়ন। ১টি উইকেট ক্যামেরন গ্রিনের।
আইএন/এমএমআর