ভ্রমণ

রূপগঞ্জে ঘুরতে গেলে পাবেন যেসব মনোরম স্থান

ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পার্ক, রিসোর্ট ও ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ ঘুরে দেখতে পারেন ১২টি ভ্রমণ ও দর্শনীয় স্থান। ইট-পাথরের নগরী ছেড়ে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চাইলে ঘুরতে যেতে পারেন এসব দর্শনীয় স্থানে। এখানে আছে জিন্দাপার্ক, সুবর্ণগ্রাম, রাসেল পার্ক। আছে রূপগাঁও রিসোর্ট, পদ্ম-শাপলা রিসোর্ট, জঙ্গলবাড়ি রিসোর্ট সুইমিং অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট বৃষ্টিধারা, সপ্তর্ষি রিভারসাইড রিসোর্ট, পূর্বাচল শীতলক্ষ্যা রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক, সি শেল অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও রিসোর্ট, নিঝুম পল্লী রিসোর্ট, ফ্যামিলি লাইফ রিসোর্ট। এসব বিনোদন কেন্দ্রে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রমণপিপাসু ও দর্শনার্থীদের সমাগম হয়।

জিন্দাপার্কপার্কটি পাখ-পাখালির অভয়ারণ্য। সবুজ অরণ্যে পাখির কিচিরমিচির শুনতে বেশ উপভোগ্য। পার্কজুড়ে ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১০ হাজারের বেশি গাছ আছে। ঢাকা থেকে মাত্র ১৬-১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা এলাকায় প্রায় ১৫০ একর জমির ওপর পার্কটি। ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে বিশাল লেকে নৌকায় বেড়াতে পারেন। প্রায় ৫টি জলাধার নিয়ে পার্কটি। পার্কের চারপাশে বসার বেঞ্চ। সবুজ ঘাসে মোড়ানো কাঁচা রাস্তা ও সবুজ অরণ্য দেখে মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ট্রি হাউজ। বইপ্রেমীদের জন্য লাইব্রেরিও আছে।

পিকনিক কিংবা ডে আউটের জন্য পছন্দের শীর্ষে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে পার্কটি। ভেতরে খাবারের সুব্যবস্থা আছে। রেস্টুরেন্টে আছে বিভিন্ন প্যাকেজ। কম খরচে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগি, গরু, খাসি ইত্যাদি পাবেন। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে গেলে প্রবেশ ফির সঙ্গে ২৫ টাকা দিতে হবে। বড়দের জন্য প্রবেশ ফি ১০০ টাকা, শিশুদের জন্য ৫০ টাকা। পার্কিংয়ের জন্য ৫০ টাকা। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল ৩০০ ফিট হাইওয়ে সড়ক দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে সিএনজি বা অটোরিকশায় জিন্দা পার্ক যাওয়া যায়।

সুবর্ণগ্রামরূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শাওঘাট এলাকায় অবস্থিত সুবর্ণগ্রাম অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট। প্রকৃতিক সৌন্দর্য ও বিনোদনের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে আকর্ষণীয় রাইড, ওয়াটার পার্ক, রেস্টুরেন্ট, জুস বার, কফি শপ আছে। কার পার্কিং এবং পিকনিক স্পট ছাড়াও স্পিড বোটে সমস্ত ওয়াটার পার্ক ঘুরে দেখার ব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় পার্কটিতে প্রতিদিন সব বয়সের দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

এখানে রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। দাম হাতের নাগালে। জনপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকায় লাঞ্চ করা যায়। প্রতিজনকে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। বিভিন্ন রাইডে চড়তে ভিন্ন ভিন্ন টিকিট কাটতে হবে। স্পিড বোটের টিকিট ১০০ টাকা, ট্রেন রাইডের টিকিট ৫০ টাকা, সাফারি রাইড ১০০ টাকা, ম্যাজিক রাইড ১০০ টাকা, হুইল রাইড ১০০ টাকা। গুলিস্তান, সায়দাবাদ থেকে নরসিংদীর গাড়িতে সরাসরি সুবর্ণগ্রাম রিসোর্টের গেটের কাছেই নামা যায়। ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসি বাসে গোলাকান্দাইল গোল চত্বরে নেমে সিএনজি বা অটোযোগে পৌঁছতে পারবেন।

রাসেল পার্কউপজেলা সদরের কাছে ৩৫ বিঘা জমিতে পার্কটি গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাসেল ভূঁইয়া। প্রথমে এটি ছিল বাগানবাড়ি। পরে বাগানবাড়িটি বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়। এখানে আছে কৃত্রিম লেক, সুসজ্জিত নৌকা, পুকুর, স্লিপার ও দোলনাসহ সবুজ ঘাসে ঢাকা শিশুদের জন্য খেলার মাঠ। এ ছাড়া কৃত্রিম হাতি, ঘোড়া, জিরাফ, হরিণ, বাঘ, পুকুরে হাঁস, আঁকাবাঁকা পথের ধারে ঘোড়ার মূর্তি পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।

শুরুর দিকে মিনি চিড়িয়াখানায় খরগোশ, হরিণ, ভালুক, ঘোড়া, হনুমান, বানর, শিয়াল, সাপসহ হরেক রকম পাখি ছিল। বিনোদন কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা রাসেল ভূঁইয়ার মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটি জৌলুস হারায়। বর্তমানে কোনো প্রাণীর উপস্থিতি নেই। কমেছে দর্শনার্থীর পদচারণাও। চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। ঢাকার গুলিস্তান থেকে রূপসী, রূপসী থেকে উপজেলা সদর সংলগ্ন রাসেল পার্ক অথবা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে কোনো বাসে চড়ে ভুলতা বা গাউছিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিকশাযোগেও যেতে পারেন।

রূপগাঁও রিসোর্টবাঁশ-কাঠের তৈরি বিশাল আকৃতির একটি দোতলা ঘর। সারি সারি বাঁশের খুটিতে বাঁশ-কাঠের মেলবন্ধনে ১৭০ ফিট লম্বা ও ৩০ ফিট প্রশস্ত দোতলা বাড়িটি বিনোদনপ্রেমীদের নজর কাড়ছে। ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রিসোর্টের যাত্রা শুরু হয়। ৮০ ভাগ বাঁশ দিয়ে তৈরি দ্বিতল স্থাপনায় ছাদ, প্রতিটি রুমের দেওয়াল, দোতলার মেঝে এমনকি দোতলায় ওঠার সিঁড়িও তৈরি করা হয়েছে কাঠ-বাঁশ দিয়ে। আছে নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলি। মাটির তৈরি তৈজসপত্রে খাবার পরিবেশন করা হয়। এখানে থাকবে রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত দেশীয় খাবার। ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ভুলতা গাউছিয়া চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিমপাড় নেমে ১ কিলোমিটার রাস্তা জাঙ্গীর এলাকায় এর অবস্থান। রিকশা বা অটোতেও যেতে পারেন।

আরও পড়ুনস্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন মুড়াপাড়া জমিদারবাড়ি যশোরে ঘুরতে গেলে যা যা দেখবেন 

শীতলক্ষ্যা পার্কশীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে শীতলক্ষ্যা রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক। রিসোর্টটিতে পুকুরের মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে কয়েকটি কুটির। বারান্দায় বসে মাছের জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, পুকুর থেকে মাছ ধরে সাথে সাথেই বারবিকিউ করে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। অনেকে শিকার করা মাছ বাড়িতেও নিয়ে যান। সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা রিসোর্টে স্থাপন করা হয়েছে কাঠের কুটিরগুলো। রিসোর্টের অবস্থান রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ মসজিদ ঘাট এলাকায়। রিসোর্টে বিভিন্ন প্যাকেজে আছে দিনব্যাপী প্যাকেজ ৫,০০০ টাকা। নির্দিষ্ট কিছু কুটিরের জন্য প্যাকেজ প্রতি ২ জনের জন্য ৪,০০০ টাকায় নেমে আসে। ২৪ ঘণ্টার জন্য ১০,০০০ টাকা। ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ভুলতা গাউছিয়া চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিমপাড় নেমে ১ কিলোমিটার রিকশা বা অটোতে যেতে পারেন।

পদ্ম-শাপলা রিসোর্টউপজেলার মধ্যপাড়া বিলের পদ্ম আর শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যই পদ্ম-শাপলা রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন ভোর থেকেই দর্শনার্থীতে মুখর থাকে রিসোর্টটি। গ্রাম্য পরিবেশকে ঘিরে গড়ে উঠেছে জায়গাটি। যেখানে তৈরি করা হয়েছে টিনের ঘরের রেস্টুরেন্ট। সেখানে মাটির পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হয়। ঘণ্টায় ৩০০-৫০০ টাকায় নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। ৩০-৪০ টাকায় কিনে নেওয়া যায় শাপলা ফুল। প্রতিজনের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। রেস্তোরাঁয় ৩০০-৪০০ টাকায় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে সিএনজি বা অটোরিকশাযোগে জিন্দা পার্ক থেকে একটু পূর্বদিকে ৫ মিনিটের দূরত্ব পার হলেই রিসোর্টটি।

সপ্তর্ষি রিসোর্টশীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কাঠের কুটির, প্রশস্ত খোলা জায়গা। চোখের সামনে প্রবাহমান শীতলক্ষ্যা নদী। নদীর বুক চিড়ে কিছুক্ষণ পরপর যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে ছোট-বড় ডিঙি নৌকা। হুইসেল বাজিয়ে চলছে ছোট-বড় জাহাজ। এ ছাড়া রিসোর্টের বিশেষত্ব হলো ট্রি হাউজ। সকালের নাস্তা, দেশি-বিদেশি খাবারসহ দুপুরের খাবার এবং সন্ধ্যার হাল্কা নাস্তা থাকে। খাবারের মেন্যু এবং থাকার রুমের ধরনভেদে মূল্য কম-বেশি হয়। প্যাকেজ শুরু হয় ৬,২০০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ প্যাকেজ মূল্য ৯,০০০ টাকা। সপ্তর্ষি রিভারসাইড রিসোর্টে দিনব্যাপী প্যাকেজ উপভোগ করতে ন্যূনতম ৪ জন নিয়ে গেলে সুবিধা হবে। ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ভুলতা গাউছিয়া চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিমপাড় নেমে ১ কিলোমিটার রাস্তা রিকশা বা অটোতে যেতে পারেন।

জঙ্গলবাড়ি রিসোর্টকুয়াশার চাদরে ঢাকা সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। গাছ সমৃদ্ধ বিনোদন স্পটের নাম জঙ্গলবাড়ি রিসোর্ট। স্থানটির সবচেয়ে দর্শনীয় হচ্ছে ফুলের বাগান ও খেলার মাঠ। রেস্টুরেন্টের খাবারও সাশ্রয়ী ও সুস্বাদু। আছে বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যবস্থা। ভাত, ডাল, সবজি, মুরগি, গরু, খাসি ইত্যাদি পাবেন। সবগুলো রিসোর্টের চেয়ে এটি কম খরচে বেশি উপভোগ্য। প্রবেশ ফি ২০ টাকা। সুইমিং পুল ব্যবহার করলে ২০০ টাকা খরচ করতে হবে। ৫০০ টাকা প্যাকেজে প্রবেশ, সুইমিং ও লাঞ্চসহ পুরোটা ঘুরে দেখা যায়। কুড়িল থেকে নীলা মার্কেট এসে সেখান থেকে অটোরিকশায় সহজেই এ রিসোর্ট।

নিঝুম পল্লী রিসোর্টগ্রাম্য পরিবেশে ১১ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রিক স্থাপনাটি। রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের পলখান গ্রামে এই নিঝুম পল্লী রিসোর্ট। রিসোর্টটিতে আছে ৪টি কুটির, ৩টি ভিলা রুম এবং ১টি রেস্টুরেন্ট। শিশুদের জন্য আছে বিভিন্ন রাইড। সবমিলিয়ে পরিবার নিয়ে ঘোরার জন্য উপযুক্ত জায়গা। বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে নৌকাভ্রমণ, মাছধরা, বারবিকিউ এবং স্কাই ভিউ টেরেস। ১ হাজার ৫০০ টাকার দিনব্যাপী প্যাকেজে উপভোগ করা যাবে এসব সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং বিকেলের হাল্কা নাস্তা অন্তর্ভুক্ত। তবে রুম নেওয়ার ক্ষেত্রে চার্জ আরও বাড়বে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিমপাড় নেমে রিকশা ও অটোযোগে জিয়া পার্কের পরেই পোলখান বাজারের কাছে রিসোর্টটি।

ফ্যামিলি লাইফ রিসোর্টপূর্বাচল উপশহরের ১৮ নম্বর সেক্টরে এর অবস্থান। ছোট্ট পরিসরে কম সংখ্যক সদস্য নিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত। যারা রান্না করতে ভালোবাসেন; তারা পাবেন পেশাদার রন্ধনশিল্পীর সঙ্গে রান্না করার সুযোগ। বারবিকিউ জোন, সুইমিং পুল, বাচ্চাদের খেলার জায়গা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে। সুইমিং পুলে দর্শনার্থীরা সাঁতার কাটতে পারেন। পেশাদার ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে। রাত যাপনের জন্য আছে ডাবল ডিলাক্স এসি রুম, একটি নন-এসি কুটির। দিনব্যাপী জনপ্রতি ১,৩৫০ টাকার প্যাকেজ উপভোগ করতে ন্যূনতম ৮-১০ জনের গ্রুপ নিয়ে আসতে হবে। নব দম্পতির জন্য বিশেষ প্যাকেজ আছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফিট সড়কের মাজার রোড বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে রিকশা সিএনজি বা অটোযোগে জিয়া চত্বর পেরিয়ে ১৮ নম্বর সেক্টরেই এই রিসোর্ট।

রিসোর্ট বৃষ্টিধারাপূর্বাচল উপশহরে রিসোর্টটির অবস্থান। কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে মাত্র ১২ মিনিটের দূরত্ব। ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় রাত যাপনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আছে ডাইনিংসহ ফ্যামিলি লিভিং, ড্রাই কিচেন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, আউটডোর কিচেন, ফোয়ারা, এবং ইনফিনিটি সুইমিং পুল। আছে জনপ্রিয় ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলার সুযোগ। এখানে ঘুরতে ন্যূনতম ৬ জনের গ্রুপ নিয়ে আসতে হবে। সর্বোচ্চ ২৪ জন সদস্য নেওয়া যাবে। একবারে একটি গ্রুপের জন্য উপভোগের সুযোগ আছে। ৬-২৪ জনের যে কোনো সংখ্যক সদস্যের গ্রুপের জন্য দিনব্যাপী প্যাকেজ জনপ্রতি ৩,২৫০ টাকা। প্যাকেজের মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার নাস্তা এবং দুপুরের খাবার অন্তর্ভুক্ত। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চায়ের সঙ্গে চিতই ও ভাপা পিঠার ব্যবস্থা করা হয়। ৩০০ ফিট সড়কের মাজার রোড বাসস্ট্যান্ডে নেমে বাঁয়ে অটোরিকশা করে যাওয়া যায় রিসোর্টে।

সি শেল পার্ক ও রিসোর্টপিকনিক ও বিনোদন পার্টির জন্য সুন্দর একটি জায়গা। এতে আছে পার্ক, বৃত্তাকার বাগান, সুইমিং পুল এবং পার্টি সেন্টার। বছরজুড়েই পিকনিক, পার্টি ও আড্ডা লেগেই থাকে। শিশুদের জন্য রাইড, সুইমিং পুল, খেলার মাঠ আছে। প্রতিদিন টিকিট কেটে অনেকেই বেড়াতে আসেন। ১০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে সারাদিন ঘুরে দেখতে পারেন। রাইডগুলোর জন্য আলাদা খরচ করতে হবে। রাইডভেদে ৫০-১০০ টাকা। সুইমিং পুলে সাঁতারের জন্য প্রতি ঘণ্টায় দিতে হবে ২০০ টাকা। রয়েছে এসি ও নন-এসি ডিলাক্স রুম। প্যাকেজ মূল্য প্রতি রাতে প্রায় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফিট সড়কের সমু মার্কেট বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি অথবা অটোরিকশাযোগে পূর্বাচল উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে গুতিয়াবো এলাকায় রিসোর্টের অবস্থান।

এনএইচএ/এসইউ