আইন-আদালত

বিচারকদের প্রশিক্ষণে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ’ অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ সেশন অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ থেকে এসসি (এডি) জারি করা হয়েছে (স্মারক নং–১৫৯২/২০২৫)। গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা স্মারকটিতে সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ও রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামানের সই রয়েছে।

স্মারকে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অনুমোদনক্রমে সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান ও সুপারিশ প্রদান কমিটির গত ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনহাইকোর্ট বিভাগের দৈনিক কজলিস্ট প্রকাশ পদ্ধতিতে পরিবর্তনডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকারসহ চারজনের নিয়োগ বাতিল

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইনগত নির্দেশনা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রতিটি প্রশিক্ষণ ব্যাচের পাঠ্যসূচিতে একটি পৃথক সচেতনতামূলক সেশন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এই সেশনে হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৫৯১৬/২০০৮ মামলায় ২০০৯ সালের ১৪ মে প্রদত্ত ঐতিহাসিক রায়ের ওপর আলোচনা করা হবে। সেশনের সময়কাল এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্মারকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চলমান ও ভবিষ্যৎ সব প্রশিক্ষণ কোর্সের পাঠ্যসূচিতে এ সচেতনতামূলক সেশন বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। এই নির্দেশনা বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালকের (প্রশিক্ষণ) কাছে পাঠানো হয়েছে।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস