রোজার জন্য সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত না খায়, সে গোনাহগার নয়। এ কারণে যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরি খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য রোজা রেখে নেওয়া জরুরি। এতে তার রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
বরং ক্ষতি হবে তখন, যখন সে কিছু খেতে হয় মনে করে তখনই (ফজরের পর) কিছু খেয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে তাকে সারাদিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রমজানের পরে সেই দিন কাজা করতে হবে।
আরও পড়ুন
সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সেহরি খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হয়ে গেলে কী করবেন?সেহরি খাওয়া যে উত্তম, তা প্রকাশ করার জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম উম্মতকে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সেহরিকে বরকতময় খাদ্য বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন,
‘তোমরা সেহরি খাও। কারণ, সেহরিতে বরকত আছে।’ (সহিহ বোখারি : ১৮২৩, সহিহ মুসলিম: ১০৯৫)।
মুনশি/এসইউ/জেআইএম