সাহিত্য

হাসান ইমতিয়াজের তিনটি কবিতা

পথরোধ

এই আমি দাঁড়ালাম

তোমাদের পথ রুখে দাঁড়ানোর দণ্ড আমি মাথা পেতে নেব তবুও দাঁড়াতে হবে আমাকে

আমাকে আঘাত করো যত খুশি ততই আঘাত করো ফুল দিয়ে, কাঁটা দিয়ে, পাথর দিয়ে

বন্দুকের নল ঠেকাও মাথায় আমার কবিতা কেড়ে নাও অথবা প্রেম তবুও দাঁড়াবই আমি—

ক্রসফায়ার দেবে? দাও—হাতের ওপরে পেরেক ঠোকো কাঠে মাথা নামিয়ে দাও শরীর থেকে তবুও সুউচ্চ গ্রীবা নিয়ে দাঁড়াব উন্নত

জনতার জন্য কিম্বা প্রেমিকার!

****

বাজপাখি

আমি এক ঘুঘু পাখি তুমি চাইলেই দিতে পার জলপাই শাখা

দারুণ ঘুম ভেঙে আমি রোজ নিয়ম করে বসি তোমার ডালে তোমার চোখফুল ভুল করে একবার তাকালেই গরাদের সব শিক ভেঙে দিতে পারি!

হয়েছে আজকাল কী যেন অসুখ তুমিহীনা আনমনা সারাটা দিন সারাটা রাত কাটে নির্ঘুম চোখে!

অনেক দিন যায় বসিনি একসাথে ধরিনি হাত কোমল মমতায় হয়নি চোখাচোখি—বলে দিতে পার ঠোঁটেদের ছলাকলায় হাতের অস্থিরতায়—আসলে আমি প্রেমিক নই, পুরুষ নই, মানুষ নই আমি—কেবলই বাজপাখি

****

ঝাড়ুদার

সমাজের জন্য ঝাড়ুদার চাই

এইখানে ছড়িয়ে আছে শুকনো ডালপালা, মরা পাতা,বাসি ফুল, আধ খাওয়া সিগারেট

ঝাড়ুদার চাই— নিয়ম করে ঝাড়ু হোক সমাজের অনাচার, নৃশংসতা, হত্যাকাণ্ড

ঝাড়ুদার শুয়ে আছেন এইখানে এই সমাজের বিস্তৃত চৌকাঠে

জেগে উঠুক সে;জাগুক নিশিন্দা বৃক্ষের ওপরে তুমুল অন্ধকারে চকচকে চাঁদের আলোর মতন।

এসইউ/জিকেএস