মূত্রনালির সংক্রমণে অনেক নারীই ভোগেন। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণগুলোর মধ্যে এটি একটি। জানা যায়, প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ নারীরা তাদের জীবদ্দশায় ইউটিআই অনুভব করবেন। তবে শুধু নারী নয় পুরুষরাও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
যদিও প্রস্রাবে সংক্রমণের সমস্যা জীবন-হুমকিপূর্ণ অবস্থা নয়, তবে গুরুতর সংক্রমণের ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয় যেমন- বারবার প্রস্রাবের তাগিদ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, রং বদল ও তীব্র-গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, পেটে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা ইউটিআই রোগীর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেন। আসলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ অণুজীবের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়।
এক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীকে ৫ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স চালাতে বলেন। তারপরও সংক্রমণ না সারলে কোর্স আরও বাড়তে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ধারিত হয়।
যাদের মূত্রনালীর গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে তাদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হলো সর্বোত্তম চিকিৎসার বিকল্প। তবে আপনার উপসর্গগুলো হালকা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ও জিজ্ঞাসা করুন অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই বাড়িতে এর চিকিৎসা করতে পারেন কি না।
আরও পড়ুনথাইরয়েডের রোগীরা যে কৌশলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
যদিও অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় সাহায্য করে, তবে তা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ফুসকুড়ি, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে ইউটিআই সারাতে চান তাহলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ঠিক একইভাবে ইউটিআই সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। কমলালেবু, জাম্বুরা, কিউই, লেবু এ সময় নিয়মিত খেতে হবে।
ইউটিআইয়ে যারা ভুগছেন তারা কখনো ভুলেও প্রস্রাব বেশিক্ষণ ধরে রাখবেন না। প্রস্রাব করার সময়ও প্রস্রাব ধরে রাখা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করলেই মূত্রাশয় খালি করা জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং প্রস্রাব চেপে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে। প্রোটিন বা ভিটামিন-ডি’র ঘাটতির কারণেও মূত্রনালি সংক্রমণ হতে পারে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।জেএমএস/এমএস