প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আতঙ্ক ব্যাংককে। সোমবার (৩১ মার্চ) থাই রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ভবনে কম্পন অনুভূত ও ফাটল দেখা দেওয়ার খবর আসে। এর পরপরই ভবনগুলো থেকে সব লোকজন বের করে নেওয়া হয়।
জানা যায়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মানুষজন সরানোর কাজ শুরু হয়। ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে চেঙ ওয়াট্থানা রোডের সরকারি কমপ্লেক্সের ভবন এ, দীন দেং জেলায় শ্রম মন্ত্রণালয় এবং রাচাদাফিসেক রোডের আদালতের ভবন।
আরও পড়ুন>>
৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়লো ৩০ তলা ভবন, ভিডিও ভাইরাল থাইল্যান্ডে ধসে পড়া ভবনের নিচে প্রাণের চিহ্ন, চলছে উদ্ধার অভিযানএছাড়াও, হুয়াই খওয়াং জেলায় সরকারের আবাসন ব্যাংকের সদর দপ্তর, রাচাদাফিসেকের অপরাধ আদালত এবং দীন দেংয়ের সামাজিক সুরক্ষা অফিস থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে সৃষ্ট ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবে ব্যাংককে একটি ৩০ তলা নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। এরই মধ্যে তার তিনদিন পার হয়ে গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন অনেকে। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ব্যাংককের গভর্নর ছাদচার্ট সিটিপুন্ট বলেছেন, রোববার রাতে ধ্বংসাবশেষে নিচে অন্তত তিনজনের জীবিত থাকার লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে। তবে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ জায়গাটি এখনো নিরাপদ নয়।
গভর্নর বলেন, এখন আমরা অনুসন্ধানের ৭২ ঘণ্টা পার করতে চলেছি। জীবিত লোকদের খোঁজ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, চতুচক জেলার দপ্তরকে কয়েকজন চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা এলাকাটিতে প্রবেশ করে নথি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গভর্নর বলেন, এটি একটি বিপর্যয় এলাকা, অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ধসে পড়া ভবনটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল একটি চীনা কোম্পানি। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ভবনের নকশার কপি সংগ্রহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন গভর্নর ছাদচার্ট সিটিপুন্ট।
সূত্র: ব্যাংকক পোস্টকেএএ/