আইন-আদালত

সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজন পুলিশকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের জানান, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন।

চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ মামলার গ্রেফতার আসামিরা হলেন পরিদর্শক আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:

চানখারপুল মোড়ে উত্তেজনা, ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান চাঁনখারপুলে গণহত্যা: কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা  চানখাঁরপুলে গুলি: কনস্টেবল ইমন কারাগারে 

দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের জানান, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল এলাকায় আসামিরা নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিককে গুলি করে। তারা শহীদ হন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, তদন্তকালে পলাতক আসামি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা সরাসরি তত্ত্বাবধান/ অংশগ্রহণ, অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা, কোনো ব্যবস্থা না নেওয়াসহ অন্যান্য উপায়ে ভূমিকা রাখার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস