নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৩১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এজন্য নেত্রকোনা-ধুবাউড়া সীমান্ত এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত টহল ও নজরদারি।
Advertisement
শুক্রবার (৬ জুন) বেলা ১১টায় নেত্রকোনা-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান চক্র এবং কোরবানির পশুর চামড়া পাচারের অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দেশব্যাপী কোরবানির পশুর চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু মজুত রয়েছে, যা স্থানীয় খামারিরা উৎপাদন করেছেন। বিশেষ করে নেত্রকোনায় পর্যাপ্ত কোরবানির পশুর যোগান রয়েছে।
দেশীয় খামারিরা যাতে ন্যায্য মূল্য পান এবং ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোনোভাবেই গরু অবৈধভাবে যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সীমান্তে অতিরিক্ত টহল, নজরদারি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
Advertisement
৩১ বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, ঈদের পর পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি ও চেকপোস্ট ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করছে।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কোনো ব্যক্তি যাতে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইনের চেষ্টা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ পর্যন্ত ৩১ বিজিবির কর্ম এলাকার ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ২২ জন এবং নেত্রকোণার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ৩২ জনকে পুশইন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এইচ এম কামাল/এফএ/এমএস