দেশজুড়ে

মাঠের পাশের বাড়িতে ফুটবল পড়া নিয়ে বিতণ্ডা, বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

মাঠের পাশের বাড়িতে ফুটবল পড়া নিয়ে বিতণ্ডা, বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় খেলার মাঠের বল বাড়িতে গিয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে উপজেলার দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন, নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ (৫৫) ও তার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম মুন্না (১৭)। দুজনেই মাথায় গুরুতর জখম হন। হাবিবুর রহমানকে প্রথমে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। জাহিদুল ইসলামকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন, একই গ্রামের মো. এমদাদুল হক সলি (৩৮) ও মো. বাবুল মিয়া (৫৫)।

Advertisement

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামের আবু সাহিদের বসতবাড়ির পাশে একটি খেলার মাঠে স্থানীয় শিশুরা ফুটবল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে বল মাঠঘেঁষা বাড়িতে পড়লে প্রতিপক্ষের এমদাদুল, বাবুল, মোশারফ ও হেলিমসহ অন্যান্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলায় হাবিবুর রহমান আকন্দ ও তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম মুন্না গুরুতর আহত হন। হাবিবুরের মাথার খুলি ভেঙে গুরুতর জখম হয়। আর জাহিদুলের মাথায় রামদার কুপে গুরুতর জখম হয়।

এদিকে হামলা প্রতিহত করতে গেলে হামলাকারী কয়েকজন আহত হন। তারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন হাবিবুর রহমানের ভাই আবু সাহিদ। এতে একই গ্রামের মোশারফ মণ্ডল, এমদাদুল হক সলি, মো. বাবুল মিয়া, আ. হেলিম, আ. আমিন ও আবুল হাসেম মণ্ডলসহ ৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এমদাদুল ও বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

গণমাধ্যমকর্মী রানা আকন্দ বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনায় আমার বাবা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আর ছোটভাই জাহিদুলকে নেত্রকোনা সদর হাসাপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার যথাযথ বিচার চাই।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একজন আসামি পা ভাঙা অবস্থায় কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে গুরুতর জখম হয়েছেন। হাবিবুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তবে অন্যপক্ষের কয়েকজন কিছুটা আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের পা ভেঙেছে।

কেএএইচ/এমএন/এএমএ