বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল।
ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো গত ২৩ জুলাই দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।
ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ ট্যারিফ আরোপসহ বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট দুই দেশের জন্যই নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত তৌহিদুল ইসলাম বৈঠকে ট্যারিফ কমানো, এলসি জটিলতা দূরীকরণ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ— এ তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির ধারণাপত্র তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ থেকে উপস্থাপিত প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন জানিয়ে গ্যাব্রিয়েল গালিপোলো বলেন, ব্রাজিল শিগগির একটি বাণিজ্য চুক্তির সমঝোতা স্মারকের খসড়া প্রস্তাব পাঠাবে। এ খসড়ায় বাংলাদেশের ধারণাপত্রে উল্লেখিত মূল বিষয়গুলোর পাশাপাশি পারস্পরিক বাণিজ্য সহযোগিতার বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
দূতাবাস জানায়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সুযোগ। এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্রাজিলের মতো একটি বৈশ্বিক শক্তির সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য একদিকে যেমন নতুন বাজারের দুয়ার খুলে দেবে, অন্যদিকে তেমনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার একটি শক্তিশালী উদাহরণ তৈরি করবে।
সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে, আগামীতে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাৎসরিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
জেপিআই/এমএএইচ/এমএস