স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তথ্যের হিসাব অনুযায়ী মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৫ হওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ সেটি ৩৪ দেখিয়েছে মন্ত্রণালয়। দেখা যায়, আগের হিসাবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন দেখানো হয়েছে। আজ সেটি ১৪ বলা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এরই মধ্যে তারা এটির ব্যাখ্যা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সিএমএইচে ১৫ মরদেহ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি মরদেহ অভিভাবকরা শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন। বাকি ছয়টি মরদেহ ও আংশিক মরদেহের ব্যাগ ছিল। শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। ডিএনএ টেস্ট করে সেখানে ছয়টির পরিবর্তে পাঁচটি মরদেহ পাওয়া গেছে। যার কারণে সেই ১৫ সংখ্যা এখন ১৪ তে দাঁড়িয়েছে।
এ নিয়ে সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২১ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল কর্তৃক মোট ১৫টি বডিব্যাগ গৃহীত হয়, যার মধ্যে তুরাগ থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ১১টি মরদেহ, দুটি অপূর্ণাঙ্গ মরদেহ এবং পাঁচটি দেহের অংশবিশেষ সুরতহাল করে। ১১ মরদেহের মধ্যে ৯ জন দাবিদার মরদেহ শনাক্ত করতে পারায় ঘটনার দিন ২১ জুলাই তুরাগ থানা পুলিশ দাবিদারদের কাছে আটটি এবং ২২ জুলাই একটি মরদেহ হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন ডিএনএ টেস্টে রাইসা মনিসহ যে ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হলোসুরতহাল করা বাকি দুটি মরদেহ, দুটি অপূর্ণাঙ্গ মরদেহ এবং পাঁচটি দেহের অংশবিশেষ থেকে ২২ জুলাই সিআইডি ফরেনসিক টিম ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন এবং পরীক্ষা শেষে ফলাফলের ভিত্তিতে সিআইডি ফরেনসিক টিম পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত করে।
বৃহম্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে তুরাগ থানা পুলিশ পাঁচজন দাবিদারের কাছে শনাক্ত মরদেহ ও দেহের অংশবিশেষ হস্তান্তর করে।
এসইউজে/বিএ/জিকেএস