রাজনীতি

হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বান খসরুর

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত ও আহতদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে বিমান বিধ্বস্তে নিহত অভিভাবক লামিয়া আক্তার সোনিয়ার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় নিহতের বাড়িতে যান তিনি। এসময় নিহতের স্বামী আমিনুল ইসলাম জনি ও তার মেয়ে মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা জায়রার সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

খসরু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে সাধ্যমতো থাকবে বিএনপি। আগুনে পোড়া রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউটকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার সময় ভবনটিতে ছিল ৫৯০ শিক্ষার্থী

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা অপ্রত্যাশিত, তবে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খসরু বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে সমাধান বের করতে হবে। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো অবকাঠামো এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি।

স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়াতে হবে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, মা হারা জায়রার পাশে থাকবে বিএনপি। তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হবে।

লামিয়া আক্তার সোনিয়ার স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে দগ্ধ হন লামিয়া। সেদিনই মারা যান তিনি। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গত ২৪ জুলাই তাকে শনাক্ত করা হয়। ওই রাতেই বিরুলিয়ার বাগনিবাড়ি এলাকায় লামিয়াকে দাফন করা হয়।

গত ২১ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪৫ জন। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৩৩ জন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন।

কেএইচ/ইএ/এএসএম