শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নিয়েছেন পিরোজপুরের নেছারাবাদের সোনারগোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা ইয়াছমিন। ছবিটি নামিয়ে চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে।
তদন্তের বিষয়টি নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার বিকেলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীনের ফোন পেয়ে শামিমা ইয়াছমিন ছবিটি সরিয়ে নেন।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর জন্য আমার কাছে সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আমি ছবি সরাতে যাইনি। মূলত এলাকার একটি মহল সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেওয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তখন ছবিটি সরাতে বললে আমি বলেছিলাম, ‘সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাবো না।’ পরে বিকেলে শিক্ষা অফিস থেকে ফোন পেয়ে ছবিটি আমি নিজের হাতে নামিয়ে বিদ্যালয়ের চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছি।
আরও পড়ুন:
‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করি ও ভালোবাসি’ ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণ, ৬৪ জেলার তথ্য চাইলো দুদক ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন, পরীক্ষা বাতিলসহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব বিদ্যালয় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। তবে ছবি সরানোর জন্য সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাকে বলার পর তিনি ছবি নামিয়ে ফেলেছেন।
এর আগে দুপুরে দেওয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার বাবা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারবো না।
এর আগে ৩ আগস্ট বিকেলে জাগো নিউজে ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করি ও ভালোবাসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসে। এরপর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রধান শিক্ষিকাকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর নির্দেশ এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
মো. তরিকুল ইসলাম/জেডএইচ/জেআইএম