নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শ্রমিকের নাম হাবিব ইসলাম (৩২)। তিনি নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাটের দুলাল হোসেনের ছেলে।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত এভারগ্ৰীন নামে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইপিজেডের শ্রমিকরা। সোমবার রাতে হঠাৎ করে কোম্পানি বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী আটক শেষ লড়াইয়ে হেরে না ফেরার দেশে কিশোরী ফুটবলার সুস্মিতা চুয়াডাঙ্গায় আবার বেড়েছে তাপপ্রবাহ, যে সংকেত দিচ্ছে আবহাওয়াআইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এসময় এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এতে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তানজিরুল ইসলাম ফারহান জানান, মৃত অবস্থায় হাবিব নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে একটু ক্ষত ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এছাড়া হাসপাতালে আহত অবস্থায় আরও ৮ জন শ্রমিক চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমিরুল হক/এফএ/জিকেএস