শেরপুরে পৃথক বাসচাপায় এক পথচারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুমরী এলাকায় ও রাত সাড়ে ৭টার দিকে নকলা উপজেলার বাদাগৈড় এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী এলাকার মৃত খোকা মিয়ার ছেলে আহসান (৫৫) ও নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামেরকান্দি গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের স্ত্রী মহিরন বেগম (৫৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ঝিনাইগাতী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ঝিনাইগাতী এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সদর উপজেলার কুমরী বটতলী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি মহেন্দ্র ট্রাকে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের যাত্রী আহসান মারা যান এবং আরও অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইজিবাইক চালক মামুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নকলা উপজেলার বাদাগৈড় এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মহিরন বেগম। পথিমধ্যে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে পেছন থেকে সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে শনিবার রাতে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও মরদেহ উদ্ধার করেছে। দুর্ঘটনা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মো. নাঈম ইসলাম/এমএন/এমএস