চুলের যত্নে নানা ধরনের প্রসাধনী পণ্য পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক উপাদানের কোনো তুলনা হয় না। এই প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে জবা ফুল অন্যতম।
চুল ঝরা, পাতলা হয়ে যাওয়া, অকালপক্বতা রোধ করতে জবা ফুল বেশ ভালো কাজ করে। জবা ফুলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যাতে চুল হয় কোমল ও মসৃণ।
ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন- এর তথ্য মতে, জবাফুলে থাকা ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।তবে জবাফুলের তেল ব্যবহার করবেন? নাকি প্যাক? কোনটি চুলের জন্য বেশি উপকারী – এ নিয়ে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান।
আসুন জেনে নেওয়া যাক জবা ফুল কীভাবে ব্যবহার করবেন- কারা কীভাবে ব্যবহার করবেনযাদের চুল কোঁকড়া এবং মাথার ত্বক শুষ্ক তারা জবা ফুলের তেল ব্যবহারে ভালো উপকার পাবেন। আবার যাদের চুল পাতলা এবং মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা জবা ফুলের প্যাক ব্যবহারে বেশি উপকার পাবেন।
১. পাঁচটি জবা ফুল বেটে নিন। এবার আধা কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এটি চুলে মেখে আধাঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া ও চুলের খুশকি দূর হবে। সেই সঙ্গে চুলের ঘনত্বও বাড়বে।
২. এক কাপ পানিতে কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে নিন। পানির রং লাল হয়ে এলে ঠা্ন্ডা করে একটি স্প্রের বোতলে ভরে তুলে রাখুন। প্রতিদিন গোসলের আগে চুলে স্প্রে করে আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহারে চুল কালো হবে। চুলের অকালপক্বতা প্রতিরোধেও সাহায্য করবে।
জবাফুলের হেয়ার প্যাক বানাবেন যেভাবে১. ছয়টি জবা ফুল খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথায় মেখে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহাবে চুল পড়া কমবে এবং খুশকি দূর হবে।
২. পানিতে ২ টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। কয়েকটি জবা ফুল ও মেথি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। প্যাকটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
সূত্র: স্কিন ক্রাফট, হেলথ লাইন, ওনলি মাই হেলথ
আরও পড়ুন
সিরাম স্ক্যাল্প ও চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেনপাম অয়েলে চুলের যত্ন
এসএকেওয়াই/এএমপি/এমএস