দেশজুড়ে

কুষ্টিয়ায় পাটের চাষ বাড়ছে

কুষ্টিয়ায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক হারে বেড়েছে পাট চাষ। কুষ্টিয়ার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন পাট আর পাট। কুষ্টিয়া জেলা পাট অদিফতরের মূখ্য পাট পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস জানান, `পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০` ও বিধিমালা ২০১৩ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সারাদেশের মতো এ জেলায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এজন্য পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে পাট চাষও দিন দিন বাড়ছে। তিনি জানান, পাটের দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা দিন দিন পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। সেই সঙ্গে এবার পাটের দাম বিগত বছরের তুলনায় ভালো। গত বছর পাটের বাজার মূল্য ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। আর এবার ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। কুষ্টিয়ার মিরপুর উজেলার মশান গ্রামের পাটচাষী মান্নান শাহ জানান, আমি প্রায় প্রতি বছরই কম বেশি পাট চাষ করি। গত বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। গত বছর আমি বিঘা প্রতি ৯ মণ করে পাট পেয়েছিলাম এবং সেগুলো ২০০০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম। এ থেকে আমি প্রায় ৯০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে সেখান থেকে আমি প্রায় ২০-২২ মণ পাটকাঠি পেয়েছিলাম। সেগুলো ২০০ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি করেছিলাম। মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামের পাটচাষী রফিকুল ইসলাম জানান, আমি এবার ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। প্রতিবারই আমি পাট চাষ করি। তবে এ বছর পাটের রোগবালাই নেই বললেই চলে। আর পাটও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. হায়াৎ মাহমুদ জানান, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কুষ্টিয়ায় পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ৯১ হাজার ২৯৪ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল এবং উৎপাদন হয়েছিল ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৭০ বেল পাট। বিগত বছরের তুলনায় জেলায় এ বছর প্রায় শতকরা ১৫-২০ ভাগ পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৪ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮২০ বেল পাট। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৪৪৬ একর, মিরপুর উপজেলায় ২১ হাজার ৭৩৬ একর, ভেড়ামারা উপজেলায় ১০ হাজার ৮৬৮ একর, কুমারখালী উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৩৮ একর, খোকসা উপজেলায় ৯ হাজার ৩৮৬ একর এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৪১ হাজার ৯৯০ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।আল-মামুন সাগর/এসএস/আরআইপি