দেশজুড়ে

প্রাইভেট পড়তে গিয়ে অপহৃত শিশু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার

কক্সবাজারের চরকিয়া পৌর শহরের এক বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব-১৫।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে এপিবিএন এবং জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার বাড়ির পাশে শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি ওই শিক্ষার্থী। অপহৃতকে উদ্ধার করা গেলেও অপহরণকারীকে আটক করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।

অপহরণের শিকার মিম (৯) চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় বিদ্যাপীঠের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

অপহৃতকে উদ্ধারের পর চকরিয়া থানায় আনা হলে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চকরিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থীর অপহরণকারী একজন রোহিঙ্গা যুবক। অন্য এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে চকরিয়া পৌরশহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। সেই বাসাতেই অপহৃত শিশুকে প্রাইভেট পড়াতেন। ওই রোহিঙ্গা যুবক বাংলাদেশের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন- মৌলিক সুবিধাও জোটে না বেদেপল্লির ৩০০ বাসিন্দার ভাগ্যে৮ দাবিতে সোমবার বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালমহাসড়কের একপাশ বন্ধ করে বিএনপি নেতার স্মরণসভা

চকরিয়া থানা চত্বরে অপহৃত ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বাসার পাশে মুজিবুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। মুজিব বাসায় প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলে আমার মেয়েকেও সেখানে পড়তে দিই। তারা যে রোহিঙ্গা, সেটি আমরা জানতাম না। হঠাৎ গত মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি। শিক্ষকের বাসাও তালা দেওয়া। শিক্ষককে ফোন দিলেও ধরেননি। বুধবার সকালে আমার ফোনে কল করে জানায়, আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কণ্ঠ শুনে নিশ্চিত হই, এটি মুজিবের কণ্ঠ। মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে প্রাইভেট শিক্ষক মুজিব একটি বিকাশ নম্বর দেন।

চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে দেওয়া বিকাশ নম্বরে কিছু টাকা পাঠিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর চকরিয়া থানার এসআই জাকির ও এএসআই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযান চালানো হয়।

এরআগে ছাত্রীর বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে র‍্যাব, এপিবিএন সদস্যরাও পুলিশকে সহায়তা করেন। উখিয়ার হেলাল মেম্বারসহ অনেকের সহায়তায় বুধবার বিকেলে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে অপহরণকারীকে ধরা সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, অপহৃত শিশু শিক্ষার্থীকে পুলিশ দ্রুত সময়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অপহরণকারীও শিগগিরই ধরা পড়বেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস