রাতারাতি তো আর খাদের কিনারা থেকে ওঠা সম্ভব নয়। তারপরও মোটা দাগে ওয়ানডেতে খারাপ খেলার কারণ কি? কি করলে ওয়ানডে দল আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে? পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হলে করণীয়ই বা কি কি?
তা জানতে মুখিয়ে ক্রিকেট অনুরাগিরা। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বিশ্লেষক, জাতীয় দল পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা নাজমুল আবেদিন ফাহিম জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে সে সম্ভাবনার দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন।
ফাহিমও মনে করেন রাতারাতি এ খারাপ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না। তার ব্যাখ্যা, ‘এ মুহূর্তে হঠাৎ করে তো আর কিছু করা সম্ভব হবে না। সবার আগে দরকার প্লেয়ারদের রিয়ালাইজেশন। প্লেয়ারদেরই উপলব্ধি করতে হবে, অনুভব করতে হবে যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর ৫০ ওভারের খেলার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য।’
‘শুধু খেলার দৈর্ঘ্য, পরিধি নয়; মেজাজ, ধরন, গতি-প্রকৃতি, অ্যাপ্রোচ-অ্যাপ্লিকেশন সবই ভিন্ন। যেহেতু তারা সাম্প্রতিক সময় বা নিকট অতীতেও টি-টোয়েন্টি বেশি খেলছে, খেলেছে, তাই আমার মনে হয় তাদের মাইন্ডসেটটা টি-টোয়েন্টি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। যেটা ঠিক না। মনে রাখতে হবে ওয়ানডে খেলতে গেলে ৫০ ওভারের মাইন্ডসেট নিয়েই খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টির মাইন্ডসেট নিয়ে ওয়ানডে খেলা সম্ভব না।’
সেটা কেমন? আপনার মনে হয় কোন জায়গায় সমস্যা বেশি হচ্ছে? বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘টেস্টের মত অত ধৈর্য্যের প্রয়োজন না হলেও টি-টোয়েন্টির তুলনায় ৫০ ওভারের খেলায় ধৈর্য্য বেশি লাগে। ধরণ, অ্যাপ্রোচ, অ্যাপ্লিকেশনটাও টোটালি ডিফারেন্ট।’
‘টি-টোয়েন্টির মত না, যে শত প্রতিকুলতার মাঝেও ধুম-ধাড়াক্কা খেলে চালিয়ে দিলাম। এখানে টাফ টাইম আসবে। সেটা মোকাবিলা করার ধরণ ভিন্ন। সংকট, বিপদ উত্তরণ করার কাজটা খুব ধৈর্য্য ধরে, বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হয়, করতে জানতে হয়।’
‘আমার মনে হয় ওই ক্রাইসিস পিরিয়ডগুলো ওভারকাম করার জায়গাগুলোতে আমরা বেশি খারাপ করেছি। ওভারকাম করার বদলে লেজেগোবরে করে ফেলেছি। তাই প্রতিপক্ষ আফগানরাও বেশি চেপে ধরতে পেরেছে।’
এ সংকটে পতিত হওয়ার আসল কারণ কী? এ খারাপ অবস্থার উত্তরণে করনীয়ই বা কি? সাকিবের গুরুর প্রথম কথা, ‘আমার মনে হয় মূল সমস্যা আসলে দুটি। সবার আগে আমার মনে হয়, এটা মোর মেন্টাল। সাথে টেকনিক্যালও যে নেই তা নয়। তবে মেইন হচ্ছে মেন্টাল। সেই মেন্টাল টাফনেস বাড়াতে হবে। মাইন্ডসেটটা ওয়ানডে উপযোগী করে ভাল খেলার ইচ্ছে, আকাঙ্খা ও ডিটারমিনেশন বাড়াতেই হবে। সেটা খুব জরুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সেই সেটা দেখাতে পারলে হয়ত কিছুটা রিকভার করা সম্ভব।’
এআরবি/আইএইচএস/