দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জ সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে বসলো অত্যাধুনিক মেশিন

নারায়ণগঞ্জ শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক ব্লাড সেল কাউন্টার (সিবিসি) এবং পোর্টেবল ইসিজি মেশিন হস্তান্তর করে কথা রাখলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ‌‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই আধুনিক যন্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন তিনি।

এর আগে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়ে এই দুটি অত্যাবশ্যকীয় মেশিনের জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠিয়ে দ্রুত অনুমোদন নিয়ে আসেন। পরে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেশিন দুটি ক্রয় করা হয়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. তারিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের এখানে অটোমেটিক সিবিসি মেশিন ছিল না। এখন আমরা আরও নির্ভুলভাবে প্লাটিলেট কাউন্ট সহ অন্যান্য ব্লাড টেস্ট করতে পারব। এতে ডেঙ্গু রোগীদের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, আমাদের হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও আমরা কাউকে ফেরত দিই না। এই নতুন মেশিনগুলো আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। জেলা প্রশাসক শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিটি বিভাগের বিষয়েও খুবই মনোযোগী এটাই একজন প্রকৃত জেলা প্রশাসকের বৈশিষ্ট্য।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোর মানোন্নয়নে কাজ করছি। ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি, যেখানে প্রতি মাসে লক্ষাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা উন্নতমানের ব্লাড সেল কাউন্টার ও দুটি পোর্টেবল ইসিজি মেশিন সরবরাহ করেছি। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে মেশিনগুলো পুরোদমে চালু হবে। আমাদের লক্ষ্য সরকারি হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। রোগীরা যেন পূর্ণ মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা পান।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/কেএইচকে/এমএস